পোকায় খাওয়া শহরটাকে পিছনে ফেলে,
ছুটে চলে কালনি নামের ট্রেন
কাছে দুরে সবুজ মাঠ, বন, জলাশয়
দু’চোখের পাতা এক করতেই
ঐ দুরে মিলিয়ে যায় লোকালয়।


জানালার কাচে হাঁসে বিকেলের সোনা রোদ;
সিগারেটের ধোঁয়ায় উড়ে গল্পেরা
পরিচিত মুখের মুখরতায় খুঁজে পাই;
দশবছর আগের ডুব-সাঁতার দিন
বৃষ্টি-ভেজা ক্যাম্পাস, রাত-জাগা সূর্যসেন হল,
চোখে-মুখে ক্লান্তি আর ঘুম ঘুম ক্লাস রুম।


কমলার কোয়া খুলতে খুলতে জানালার ওপারে,
ঝুপ করে নামে সন্ধ্যা।
কালনি নামের ট্রেনটা
নিভু নিভু প্রদীপের প্রাচীন শহরের
পেটের মাঝে ঢুকে যায়।


শীতল বাতাসের চাদরে মোড়া
শ্রীমঙ্গল ইষ্টিশনে আসে অস্থিরতা
তারপর, ট্রেনটা দূর অন্ধকারে মিলিয়ে যায়।


হাজার বছরের স্তব্ধতা বুকে,
শ্রীমঙ্গলের শেষ সীমানায়
যে জনপদ, অন্ধকারে ডুবে আছে প্রকৃতির মাঝে
তার খোঁজে পথ চলি আমরা,
সাতবন্ধু এক সাথে, দশবছর পর,
খুঁজে পেতে একটি নতুন ঠিকানা।