## ১২ জুলাই ২০১৭ তারিখে আলোচনার
পাতায় প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় কবি সঞ্জয় কর্মকারের
'আলোচনা'টি পড়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে নীচের লেখাটি
প্রকাশ করিলাম। অর্থ তর্কযোগ্য হতে পারে;
তবে কাউকে আঘাত করা উদ্দেশ্য নয়-
কবিতা তো কবিতাই।##


আসরে হঠাত শুরু হলো সেকি দ্বন্দ্ব-
কবিতা তবে শুধুই কি গো ছন্দ?
অধুনা যুগের বড় মনীষীরা বলে,
ছন্দ ছাড়াও কবিতা সমান চলে
যদি রহে রস, স্বচ্ছ সঠিক গতি-
এখানে আমার তীব্র বাঁধন-যতি।

‘বনলতা সেন’ বনেছিল বনলতা
হরফে হরফে যেখানে ছন্দগাঁথা।
পল্লীকবির ‘আসমানি’ আর ‘কবর’
ছন্দদোলায় রচিত কাব্য অমর-
হৃদয় এখানে যেমতি দোলায় মাতে
গদ্যময় পদ্য কি তাই সাধে?


নজরুলের ঐ 'বিদ্রোহী' রূঢ় বীর
ছন্দসুধায় শাণিত যে তাঁর তির।
রবিঠাকুরের অমর 'গীতাঞ্জলী'
শত সহস্র ছন্দমিলের থলি।
অধুনা যুগেও সকল পাঠক স্বরে
অন্তমিলের কবিতা অঝোরে ঝরে।
গদ্যের মত নিরস পদ্য যত
সুরসুধাহীন কর্কশ আর তেতো-
দেখি না কোন পাঠকের গলা ফুটে
গদ্যরুপী পদ্য অবিরাম ছুটে।


তবুও অধুনা কবিদের অভিমত-
অন্ত্যমিলের যুগের হয়েছে গত।
ছন্দের সনে যেন গো তাদের গোস্যা
ভাব্বন্ধনে সঁপে সবি তপস্যা।
আসরে সদ্য চরিতেছে এক পক্ষ,
গদ্যের মত কবিতা রচেন রুক্ষ।
অধুনা কবিদের এমন চলন দেখে
অন্তরে আজ প্রবল শঙ্কা জাগে-
কাজলা দিদি, সোনার তরী’র বীণা
অনাগত দিনে হারিয়ে পালায় কিনা;
সত্যেন বাবু জন্মে পুনর্বার-
অধুনা যুগের কাব্যধাঁধায় দেখিবে অন্ধকার!