## প্রায় দেড়যুগ আগে লেখা কবিতাটি হয়ত
ভুলে ভরা! অনেকটা নবীন বয়সে লেখা কবিতাটি
আসরে না দিয়ে পারিলাম না। যেকোন ধরনের
সংশোধনী বা সু-পরামর্শের জন্য আহ্বান রইলো।##


সর্ব জঙাল ভরি’ আজি দেখ করিয়াছে বিস্তার
ফঁস-ফঁসিয়ে কালফণামুখী কালের সংস্কার।
তরুডগা ধরি’ জড়াজড়ি করি’ মদে মত্ত ফণী
নিশিদিনভোর উঁচিয়ে ফণা সবারে মরণ হানি’।
হেথা-ওধারে, নদী-দু’তীরে, গর্তে লুকিয়ে বসি’
অকলুষ তরে মজিয়াছে জপে কালফণী নরগ্রাসী।
প্রতীক্ষিত, আশান্বিত- দক্ষ নরখাদক,
জোট বাঁধিয়া বসিয়াছে তীরে- ক্ষুধিত কালের চাতক।      
ক্ষুধিত চিত্ত বেজায় মত্ত পূরণে মতির জ্বালা-
বিষ দিয়ে তাই পূর্ণ করে শূন্য ধানের গোলা।
এরা শূন্য গোলা পূর্ণ করে বেজায় যশ ধারী-
গোলাম কিছু ধায় পিছু তাই রচিয়া যশের জারী।
এদের চক্ষু সদা বিদ্বেষীত দেখিয়া পরের যশ-
তাই কয়েক মিলে দু’হাত তুলে জপিছে সর্বনাশ।
আফসোসে ছাড়ে দীর্ঘশ্বাস, উগ্রচিতে পরে
ধায় এগিয়ে, সর্বস্তরে কুৎসা করে মরে।
সুবিধাবাদী নরপিশাচ- স্বার্থের কাঙাল  
মত্ত হয়ে কুৎসা রটে সদাই বেসামাল।
কুৎসা রটেই ধন্য এরা গেয়েছে জয়োল্লাস-
কুৎসা রটেই সাধারণ্যের তুলেছে নাভিশ্বাস।
ওরাই আজি গড়ছে দেখ অট্টালিকার ভীত,
ওরাই আজি জগতসেরা, ওদের লাগি গীত।
কুৎসাকারী নর আর সর্প বিষবান-
এই সমাজে সমভাবে হয়েছে আগুয়ান।
তাঁদের তরে চিত্তে মোরে বইছে পরিতাপ,
ওই কুৎসাই তাঁদের জন্মদাতা, কুৎসাই অভিশাপ!


জঙাল> জঙ্গল।
-- রচনা, আনুমানিক ২০০০ সাল।