ভালোবাসি তোকে!


সেতো সব সময় বেসেছি, বাসছি, বাসবো যতদিন দেহে রবে প্রান।
তুই কাছে না থাকলেই অনুভব করি ভালোবাসা বেশী বেশী।
তোর অনুপস্থিতিই আমাকে অনুপ্রাণিত করে রাখে সদা।
অনুভব! এ জিনিসটাও বুঝতে শিখেছি তুই না থাকা মুহুর্তগুলোতে।
ভালোবাসলেই এমন করে কষ্ট দিতে হয় বুঝি!


পাশে না থাকলেই বেশী করে থাকিস যেন ঘিরে
আমার ডানে-বামে এপাশে-ওপাশে সামনে-পিছনে।
ভাবতে অবাক লাগে না; ভয় হয় চক্ষু জোড়া বন্ধ করতে।
এই বুঝি মিষ্টি করে মুক্তোঝরা হাসিটি হেসে উঠবে এখনি।
কোথা থেকে আসে এতো প্রেম! সকাল বিকাল দুপুরে!


সেই কবে, এক নিরাভরন সন্ধ্যাতারা ওঠা সন্ধ্যায় চলে গেলি।
কোন এক ভিনগ্রহে হয়তো, বলেও গেলি না কিছু।
এমনি কত অপেক্ষা করিস এখানে সেখানে
এত কিসের তাড়া ছিল সেদিন? পারলি কি করে?
কেউ একজন অপেক্ষা করে থাকবে, ভেবেছিলি একবারও?


থাকিস কি করে একা! না কি অনেক বন্ধু জুটিয়ে ফেলেছিস?
হয়তো তাই মনে পড়ে না, ফেলে যাওয়া পরন্ত বেলার কথাগুলো।
আচ্ছা! সূর্য বার্তা, চন্দ্র বার্তা কিংবা বৃষ্টি বার্তা
এগুলোওতো করতে পারিস মাঝে মধ্যে কিছু;
যেমন করে আচানক বার্তা পেয়ে চলে গেলি হঠাৎ!


সে এক অদ্ভূদ বাহন ছাড়া পারি দেয়া; কোন এক অজানায়!
মনে হতে লাগলো ওখানকার প্রযুক্তি অনেক এগিয়ে
এখানেই কত কিছু হলো; ফেসবুক, ভাইবার, ওয়াসটসআপ কত কি।
আমার আইডিটা জানিসতো! না কি ভূলে গেছিস! এ্যাড করে নিস।
এ্যাড করবি কি! তুই যে জড়িয়েই আছিস; সবখানে; আমাতেই।

তোর যে ছন্ন ছাড়া জীবন যাপন
আমার চোখে ছিল তোরই আঁকা রাজ্যের স্বপন;
এখনও বয়ে বেড়াই সেগুলো আমার জোড়া নয়নে;
কখনও বা হাতে, কাধে, বুকে, পিঠে, মাথায়, নাকে, মুখে, কানে;
সারাক্ষন; সব সময়; শয়নে, স্বপনে, জাগরনে।


KKB-22.06.2016