রুদ্রনীল; সুন্দর ফুটফুটে ৯ মাসের শিশু সন্তান;
পূজো’র পঞ্চম প্রহরে মামার বাড়িতে আগমন
“মামা” তাকে নিয়ে গেলো "দূর্গা-মা" এর দর্শনে।  


চারিদিকে আলোক বন্যায় সুমধুর সুরের মূর্ছনা
রুদ্রনীল ডাগর ডাগর চোখে তাকায় বিষ্ময়ে;
কার সঙ্গে? কোথায় আসা হলো? বোঝে না কিছুই।

মন্দিরে যেতেই ছোট্ট একটা শব্দ বেজে উঠলো কানে
রুদ্রনীলের বুকটা বারংবার ফুলে ফুলে উঠছিলো;
“মামা” বুঝতে পারলো; ভুল হয়ে গেছে তার।


আতসবাজি দেখিয়ে, আদরে, ভালোবাসায় ভোলানোর চেষ্টা বৃথা
আগ্নেওগিরীর লাভার মতো বেরিয়ে এলো এক ঝলক কান্না
দূর্গা প্রতিমা কিংবা চকোলেট এর জন্য নয় এ কান্না।


কিছু সময় দেখতে না পাওয়া গর্ভধারিনী’র জন্য এ কান্নার ধারা
যাহা জোড়া “মা” হয়েও থামাতে পারেনি “মামা”
তড়িত গতিতে বাসায় ফিরে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।


বাসায় পৌছে গর্ভধারিনী’র মুখখানি দেখামাত্র দূরন্ত কান্না উধাও
দন্তহীন, হৃদয় ভোলানো হাসি দিয়ে ঝাপিয়ে পড়লো বুকে;
পরম স্নেহে জড়িয়ে ধরলো মমতাময়ী, চুমিল সন্তানকে সুখে।


নির্বাক, বিষ্ময়ে মামা দাড়িয়ে ঠায়, দেখিতে পায় সব
মা-এর তরে, মাথা হলো নত, মুখে নাই কোন রব।


“রুদ্রনীল” এবং “মা” একাকার আত্মীক বন্ধনে, পরম মমতায়।


KKB-14.09.2017