হঠাৎ মুঠোফোনের রিংটোন বেজে উঠলো
নিদ্রা বিদায় নিল আমার,
চক্ষু মেলিয়া স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখি কলটায়
অজানা কোনো এক নাম্বার।
রিসিভারে ক্লিক করে কানে ধরলাম ফোন
মায়াবী কণ্ঠে শুনি 'হ্যালো',
শরীরটা কেমন যেন শিহরে উঠলো আমার
বললাম নাম কী তোমার বলো?
উত্তরে বললো,"আমি আপনার শুভাকাঙ্ক্ষি"
নামটা বড় বিষয় নয়,
বন্ধু বলে সম্বোধন করলো সে,আরো বললো
"বলবেন কী আপনার পরিচয়?"।
একটু ইতস্তত হয়ে বললাম "আমি সাগর বলছি"
তোমার নাম কী? এবার বলো,
"নামটা আমার নদী" উত্তর দিল একটু হেসে
এভাবে অনেক কথাই হলো।
ডজন খানেক দিন ফোনালাপ হয়ে গেলো
দেখা করতে চাইলো সে,
সবকিছু ঠিক হয়ে গেল,কথা বলবো আমরা
রূপকথা ক্যাফেটেরিয়ায় বসে।
বিকাল পাঁচটা,আমি আগেই এসে হাজির
চেয়ারে বসে খুঁজছি তাকে,
দূরের টেবিলে কেউ যেন একজন অপলকে
তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
কল দিলাম;রিংটোন বেজে উঠলো উচ্চ শব্দে
ঠিক ঐ মেয়েটির মুঠোফোনে,
রিসিভ করে আমার দিকে তাকিয়ে দাঁড়ালো
ডাকলো আমায় তার পানে।
ঐ প্রথম দেখাতেই আমি যেন পাগল হলাম
এ কী অপরূপ সৃষ্টি,
কথা বলছি আমি, শুনছি তার কথামালা
রেখে তার চোখে দৃষ্টি।
প্রথম দেখাতেই ভালোবেসে ফেলেছি তোমায়
বলে ফেললাম আমি তাকে,
যদি পারো একটু জায়গা দিও আমায় তুমি
তোমার ঐ হৃদয়ের ফাঁকে।
একটু অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আমার চোখেতে
বললো,"রাতে উত্তর দিব ফোনে",
দু'জন দু'জনের আবাসে ফিরে আসলাম পরে
ফোনের অপেক্ষায় আমি মুঠোফোনে।
রিংটোন বেজে উঠলো ঠিক রাত দশটা দশে
রিসিভ করে বললাম, "ভালো আছো?",
ওদিক থেকে উত্তরে আসলো,"হ্যা;সত্যিই কী
তুমি আমায় ভালোবাসো?"
উত্তরে বলি,"হৃদয় দ্বার খুলে দেখো তুমি আমার
কোন আসনে বসে আছো?"।
"ভালোবেসেছি তখনই তোমায়, চোখেতে চোখ
রেখেছো যখন তুমি",বলল সে,
খুশিতে আত্মহারা হয়ে বললাম,"সত্যিই কী তুমি
আমায় ফেলেছো ভালোবেসে?"।
এভাবেই শুরু হলো আমাদের ভালোবাসার
এক অসমাপ্ত অধ্যায়,
লিখে রেখেছি আমাদের ভালোবাসার ইতিহাস
হৃদয়ের এক রঙিন পাতায়।,