বসন্তের 'পলাশ 'যাকে চিত্তের অন্তস্তলে ,
যতনে এতকাল রেখেছিলাম ;বৃষ্টির -
ফোটার মতো ,চৈত্রের ঝরে যাওয়া শুষ্ক ,
পল্লবস্তবকের মতো ,এক একটি পাপড়ি ...
খসে গেছে ঝরে গেছে প্রলয়পবনে ।


বিষাদের পলিসিক্ত গহনে -
সেখানে নেই উর্বরতা ,পুষ্পসার ..
সব শুকিয়ে গেছে ।
ঘূর্ণিত জীবনে অশুভ বলয়ে ..একটু স্বস্তি শান্তি সুবাসের প্রত্যাশায় -
সাঁঝের মায়ার খোঁজে কতকাল ,
ব্যাকুল চিত্তে অনন্ত পথে হেঁটেছি ,
অনুর্বর মরুভূমির তাপে ক্লান্ত আমি !


জানা নেই পথের শেষ কোথায় ,
কোন অজানায় প্রশান্তির পুষ্পরথ অপেক্ষায় ..!
তাই ছুটছি কেবলি ছুটছি প্রজ্বল অনল বুকে ,
অমত্ত চিত্তে ,দেখি ছুটে আসে প্রলয়াভিঘাত !
নয়নকোণে অশ্রুতপ্ত টলমল করে ,
সেই নয়ন -ধারা থেকে যায় সুপ্ত
কামনার কারাগারে ।


আজন্ম বয়ে বেড়াই শোকের ,
আতসগড়া আবক্ষ যন্ত্রণা -
যা আমার একান্তই নিজের ।


আস্ফালন নেই অভিযোগ নেই ,
উগ্রতা নেই নেই প্রত্যাশা ।
বন -জোসিনী আর চাই না ,
চলেছি একা ...যাবে চলে পথ ,
যাচ্ছে যতকাল রবো ,
বিদীর্ণ হবো ।