বিস্ময় আর কষ্টের যাঁতাকলে তোলপাড় করা চিত্তে
অহোনিশি ,যখন দেখি সীমার প্রাচীর ভেদ করে -
নোতুন নোতুন ফাঁদ পেতে কণ্টক পথেই বিদ্ধ করে ,
অন্যের ভরাডুবিতে আনন্দের উৎসবে সামিল হয় ...
আত্মার স্বজন ,তখন ভাবি কে আমি , কী বা আমাদের পরিচয় !


ওই “আতঙ্ক”, ছিন্ন করে ,জীর্ণ করে সদ্য প্রস্ফুটিত -
তাজা গোলাপ ! সৌরভ বিলানোর পথে বিছাতু-ই শুধু নয় ,
ফণিমনসার চাদরে করে রুদ্ধ,ফায়দা লোটে ;পুঁজি করে -
দিবস-রজনীর নানা ক্ষণে !


কী বর্বর ,মনুষ্য আত্মা !!
বিবেক যখন জেগে উঠে ,ফিরে দেখে ...
নিজের দিকেই তীর ছুটে আসে !
তাকায় ,পচানো বিকট গন্ধযুক্ত কাদা মাখা শরীরে ,
ওই শরীরের ঔরসজাত ডুবে তিমির অন্ধকারে !
নিজ ক্রন্দন চেপে কর্মের পিঠে চিত্রায়িত দৃশ্যে
ব্যাকুল হয়ে মুক্তির নীরজা পথ খুঁজে ...


কিন্তু কিংশুক স্বভাবের চিত্রকরের ধারের কাছে ভিড়ে না ,
স্বস্তির -শান্তির তরী !
পার হবে পথ হয়ে পড়ে রুদ্ধ !!
কী দশা !নিয়তির কী  নির্মম ফলোন্মুখ !!
সত্যই সুন্দর ;কজন বুঝে ,সত্যতেই মুক্তি ;কজন খুঁজে ?
বোধ সাগরে নেমে কর্মের দোষে কপাল চাপড়ায় -
ওই “আতঙ্ক “ নীরব বালুচরে !!!