কেনো -
তোমায় এত ভালো লাগে !
কেনো বারবার আসি ছুটে -
মায়াভরা স্নিগ্ধ অবয়বের কাছে ।


তোমারই শূন্যতা-বিহনে ,
শুধু ছট্ফট্ করে ,
চাতক পাখির মত -
এই মনটা !


মনে হয় ,শত জনমের সাথী শুধুই -
তুমি !!
এসো-
আমার এই তৃষিত বাহুডোরে ।
রাখবো যতনে শক্ত করে ,
দেবো ,
সূর্যের উত্তাপ ,
বৈশাখী ঝড় ,
শরৎ স্নিগ্ধতা -সুক্ষ্ন মোলায়েম স্পর্শ
মেশানো মমতা !


সেই উত্তাপে পাবে -
ফাগের যত অনুভূতি আর সজীবতা !
সকাল-নিশির প্রতিটি প্রহরের
ক্ষণগুলো হবে সুবাসিত !
আমার উষ্ণ পরশে -
রক্তলাল হবে তোমার হলুদ তনু-মন !
সাগর উত্তাল হবে,
ঢেউ-এ ঢেউ-এ ।
তোমার মাঝে ফিরে আসবে
নোতুনত্বের শিহরণ !!


সেই অনুভূতি -
তোমায় যেমন রাঙাবে ,
প্রজাপতির মত ,আর এই আমি -
তোমার জোছনার আলোয় ,
সরু গিরিপথের ভাঁজে ভাঁজে ,
বাঁকানো শৈল্পিক দেহ সৌষ্ঠবের -
পাগলকরা আকর্ষনে ,
রক্তিম স্নিগ্ধ সকাল পাবো!
যা আমাকে প্রতিদিনের ন্যায় ,
বাঁচতে অনুপ্রাণিত করবে ।


আমি -
সিক্ত হতে চাই ,
স্বর্গীয় সুধায় ,
আজীবন ;প্রীতির উঠোনে ,
গন্ধরাজের সুবাসে -
সাগর সঙ্গমে !!


শেষে -
গোলাপের যুগল পাপড়িতে ,
এঁকে দেবো আমার ,
যতনে সুপ্ত
অনুরাগের দীপ্ত ছোঁয়া !!