কখনো রবি ,বটবৃক্ষ ,সাগর নয়ত আকাশ -
কত উপমায় কালপুরুষ যে ছিলো গেলো বেলা ,
তাকে দেখি পথের ধূলোর সাথে মিশে …
জনতার পায়ে পায়ে ;অদৃষ্টের কী নির্মম পরিহাস !
কিরণ -ছায়া -মায়া আর ভালোবাসার সর্বস্ব দিয়ে -
ফুটালো যে সূর্যমূখী ,রজনীগন্ধ্যা …একাধিক !
কুঁড়ি থেকে বেড়ে বেড়ে যৌবনে ,পূর্ণতা পেলো …
সুবাস পেলো ,হলো প্রকৃতির একজনে !
কালপুরুষ এখন ক্লান্ত …শতবর্ষী ,তাই ইতর চাবুকে ক্ষত-বিক্ষত,
তীব্র হুল ফোটা সময়ের কষাঘাতে ! জোটে না আলো ,ছায়া কিংবা মায়া …
তারই ঔরষে জন্ম নেয়া সূর্য়মূখী বৃষ অনাহারী পরগাছাকে ছুঁড়ে ফেলে -
পিচঢালা ওই পথের মাঝে নিকষকৃষ্ণ আঁধার রাতে !
নীরব স্তম্ভিত কালপুরুষ …শূন্যতায় স্মৃতি খুঁজে ফেরে …
এলো সমীর কোলে তুলে ,সব জাত ভুলে পরম মমতায় ,
সব শুনে …বিস্ময়ে তোলপাড় করে তার চেতনা !
সাথে নিয়ে যায় সূর্যমুখী ,রজনীগন্ধ্যর দারে …
দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয় জনমদাতারে ,
অবশেষে ঠাঁই …রুগ্নের সেবালয়ে !!
কেটে গেছে ক্ষণ -প্রহর -দিবস-রজনী ,
শুষ্ক পাটাতনে নির্বাক কালপুরুষ …
একা ! কে তার আপন সংসারে !!!
শীর্ণ দেহে পাথর চোখে …