উর্বর মৃত্তিকার জন্মেছিল যে বৃক্ষ -
ছিলো শাখা-প্রশাখা ,তাতে ছিলো সবুজাভ পল্লব …
ছায়া দিতো ,দিতো স্নিগ্ধতা ;নিজকে উজাড় করে ।
বৃক্ষের ছায়া-মায়া-ফুল -ফলে ,সজীব লতা-গুল্ম ,
আত্মোদরপূর্তিতে ছিলো ষোল আনা !
তাতে কী আজন্ম-ই বৃক্ষ ছিলো না-গোনা বীক্ষণ !
ফাগুন আসে আসে শ্রাবণ ; অরণ্য সাজে বর্ণিল চাদরে …
শীতে শিশিরের মুক্তোদানায় ছেয়ে যায় সব কিছু !
শুধু গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহ গায়ে মেখে ,কখনো ঝড়-ঝঞ্ঝা সহে -
নীরবে প্রহর গুনে বৃক্ষ ষড়ঋতুর বৈচিত্র কালবেলা !!
সময় গড়িয়ে যায়-
নীর ঝরে ,অবিরত …
ঝরে যায় গুল্ম ,কিন্তু বৃক্ষ স্যাঁতসেতে পরিমন্ডলে ঐ একই সত্তা নিয়ে ,
দাঁড়িয়ে থাকে … জীর্ণ-দীর্ণ অবয়বে !
নিত্য বহুরূপী মেঘের তর্জন-গর্জন শুনে …