ভুলে যাও ব্যথা-, বাঁধো যতনে,
নুতন করে সব আনো রতনে।
তাকিয়ে দেখো, ওহে চারিটিদিকে-
যত যার ছিলো-, মনেতে ফিকে
রঙিন করিয়ে নিলো সব নুতনে-;
নুতন করে তাই-, আনো রতনে।


হয়ত পেয়েছো তুমি শত যাতনা,
দাওনা ফেলে তারে, হেসে মাতো না!
রঙিন তুমিও তো- করতে পারো,
একটু ওদের হাত- ধরতে পারো!
দুঃখটা তাই ভুলে বাহু পাতো না!
যদিও পেয়েছো তুমি শত যাতনা।


মুখটা লুকিয়ে, যদি কেঁদে পরোপার
চলেই গেলে তুমি- গলে নিয়ে হার,
হেরে গেলে তবে। জেনেটা রাখো-!
‘কিছু না করেই-, কিছু না আঁকো’
তবে বলো তুমি- ‘হবে বা কি- কার’ ?
মুখটা লুকিয়ে যদি যাও পরোপার!


এমন তো-, ধরাতেই চলতে থাকে
তবে কি ব্যথাতে ‘খাস’ না রাখে ?
খাসটা-, একবার টানো কাছেতে,
দুঃখ দেখবে ঠিক গেছে পাছেতে।
ফুটবে তখন ফুল- খরা বৈশাখে;
এমন তো ধরাতে- চলতেই থাকে!


তাই আমি বলছি-, হাসি ভুলো না,
হাসিরই সাথে সাথে হেসে দুলো না!
নিজেকে আরো তুমি শক্ত করো,
নিজেরে হাসিরই মাঝে ভক্ত করো।
দুঃখের ডায়িরি আর- খুলো না;
তাই আমি বলছি-,‘হাসি ভুলো না’।