তোমার ঠোঁটের হাসি দুর্বিনীত
বাধ্যগত আর নিগৃহীত!
আমাদের মনোযোগ কাড়ে
আধুনিক পরিচর্যা কিংবা সাজ-সজ্জ্বায়
সম্ভাব্য সর্বোত্তম প্রসাধনী ব্যবহারে-
সবাই তোমার প্রশংসাতে পঞ্চমুখ।
তুমি যদিও এ ধরনের ভদ্র ও সুন্দর নও
এটা সব ঠিক স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের মতো
বিধিবদ্ধ নীতিমালায় তোমার স্থান
তোমার মর্যাদা সংবিধান কর্তৃক ধার্যকৃত।


লেবাসে তুমি সভ্যতার শিখরে
কিন্তু ব্যবহারে ডাইনোসর-যুগ।
মুখোশটা তোমার সম্পাদনার আবর্তে
ভাষাটা কেমন গুহাবাসীদের মতো।


আমরা আসলে খুব কমই শুনতে চাই
অবশ্যই না আছে যত্ন
না আছে চেতনার ধারণা
সব কিছু করছি, করতে হয় বলে।


মানবতাকে বাজানো হয় এখানে
সুনিপুণ কারিগরী বিদ্যায়।
গণিতের সূত্র ধরে, আইনের ধারায়
পুঁথিগত বাতিঘরে।
হাসি
কাঁদি
ঘর সাজাই
কিছু অনুভূতি ধারণ করি
শুধু বলতে পারি
প্রকৃত মানুষ হতে পারি নি।