সবাই আমরা ঘরবন্দী, কেউ আছি স্বজন ঘিরে
কেউ বা আবার বহুদুরে প্রবাস নামক কষ্টনীড়ে
হায! এমন করে বাঁচতে হবে, সংকীর্ণ স্থান মনের ভুবন
খোলা আকাশ চাঁদের দেশ দেখবো কি আর মিলে দুজন?
পারবো কিনা আর জানি না গ্রামের ধুলো মাখতে গায়ে
একটি রাত নদীর জলে ভর পুর্ণিমায় খোলা নায়ে।
হায়! পারতাম যদি ঘাসের মাঠে গড়াগড়ির সুযোগ দিতে
ভোরের শিশির গায়ে মেখে দীর্ঘ শ্বাসে দম নিতে।
আর পাবো কি সুযোগ কভু? ঝরনার জলে শীতল স্নানের
ইচ্ছেমতো ঘুরাঘুরি সারাবেলা মুক্ত বাতাস জীবন প্রাণের!


ফিরবো কবে বাবার দেশে, মায়ের পাশে আঁচল ধরে
দেখবো কবে প্রিয় মুখের সন্তানের হাসি মনটা ভরে?
আর হবে কি মধুর মেলা ভাই-বোন সব এক বাড়িতে
দুষ্ট মিষ্ট ঝগড়াঝাঁটি, খাবার রান্না এক হাড়িতে!


আর কিছুদিন বাঁচতে চাই বাঁচার মতো মন শরীরে
যদিও জানি সত্য কথা 'মৃত্যু সবার প্রান্ত ঘিরে'।
বাঁচতে চাই বাঁচার মতো, সবায় নিয়ে পরস্পরে
তাই বলছি পায়ে ধরে 'থাকুন সবাই নিজের ঘরে'।
আপনি যদি থাকেন ভালো, থাকবে ভালো সোনার দেশ
কিছু দিনের কষ্ট ক্ষুধায় আসবে সুদিন দুখের শেষ!


একটু খানি ভুলের জন্য নিজের ক্ষতি পরের ফাঁস
নিরাপদ দুরত্ব ভেঙ্গে গেলে আসবে জাতির সর্বনাশ।
আবেগ রাখুন বেগ চেঁপে, যুক্তি দিয়ে পাবেন না পার
স্বাস্থ্যনীতি মেনে চলুন, অজ্ঞ আপনায় দিবে না ছাড়।
হিংসা বিদ্বেষ দ্বন্দ্ব ভুলে, প্রার্থনা আজ পরস্পরে
ভালো থাকুন ভালো রাখুন, থাকুন এখন নিজের ঘরে।


শোনেন যদি মৃত্যুর খবর, দুআ করুন দু'হাত তুলে
জন্ম মৃত্যুর সত্য মেনে ক্ষমা করুন সকল ভুলে।


ওগো দয়াময়! রহমানুর রহীম, অধম বান্দাহ তুলেছি দু'হাত
দুর করে দাও এ শাস্তি তোমার, ভোরের আলোয় হঠাও রাত।
মাফ করে দাও তোমায় দয়ায়, পূর্ণ করে পুণ্য দিয়ে
রক্ষা করো, সুস্থ করো, ভীষণ জীবন ভ্রান্তি নিয়ে।
তাওবাহ করছি উন্মুক্ত চিত্তে, সকল পাপে আকুল হয়ে
দায়মুক্তির সকল দায়ে, রাখো তোমার রহমতেরই আশ্রয়ে।