(আজকের কবিতা অকাল প্রয়াত ছোটবোন মাকসুদা পারভীনকে উৎসর্গকৃত)
....................................................
গল্পকার!
গল্পের শেষ কী?
জানতে গিয়েও জানা আর হলো না
উপসংহার ছাড়াই সংহার টেনে দিলে গল্পকার?


ভূমিকা, প্রথম অধ্যায় তো ভালোই ছিল!
কিছুটা পরমক্ষণের চরমতা
নিলম্বন, উৎকণ্ঠা, দৃশ্যকাব্যের পরমতা
সুখ, দুঃখ, কষ্ট, কান্না-হাসি
জরা-ব্যাধির রঙিন প্রলেপ
স্বপ্নবিলাসী কল্পরাজ্যের হাতছানি!
কিছু হতাশা, আক্ষেপ
কিছু মান-অভিমান, মেঘে ঢাকা শালবন
বৃষ্টিবিলাস রৌদ্র খেলা
কিছু ড্রামা, মেলোডি আর সাসপেনশন!
সবই তো ছিল! তাহলে কেন-
কালবেলা!


তাহলে কেন? গল্পকার!
দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো না!
কেন ইতি টেনে দিলে এতো অল্পে
আরেকটি অধ্যায়ের আগেই
জীবনের এই গল্পে!


................................................
পুনশ্চ. আজকের পোস্ট গতকালই পোস্টের পর প্রস্তুত করেছিলাম (রসগোল্লা-৩)। কিন্তু আমরা যে বড়ই অসহায় নিয়তীর কাছে! নিয়তী আমার ভাবনায় হয়তো মুচকি হেসেছিল! আমার মামাতো বোন ডিগ্রি শেষ করে একটা ইস্কুলে শিক্ষকতা শুরু করছিল এক বৎসর ধরে। গতকাল বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫ টায় জানতে পারি সকাল ৮টায় সে মারা গেছে স্ট্রোক করে!