স্রষ্টার প্রথম সৃষ্টি তুমি
সৃষ্টির সূচনায় বিধাতার নির্দেশে লেখা!
কলম নামে পরিচিত
তুমিই আজ জগতে খ্যাত ভাগ্য-রেখা!!


তুমি তুলি‍!‍ স্বপ্নীল আঁচড়ে
কখনো সাজাও রঙিন পল্লবে ছন্দবিলাস!
সৃজনশীল শূন্য চত্বরে
এক পৃথিবী গল্প রূপায়নে বর্ণবিভাস!!


তুমি রক্ত করবী
পত্রে ঝরাও পুষ্পরাজের প্রেমের বিন্দু!
কখনো ইতিহাস হয়ে
রচনা করো বিরহী অধ্যায়ে বিষাদসিন্ধু!!


তুমি দণ্ডধারী উপাধী
কারো তরে মাফ, কেউ পড়ে ফাঁসি!
কোথাও বাতাস ভারি
কারো মুখে সুখময় অমলিন হাসি!!


জন্মগত নিয়তীর পথে
কেউ হয় চন্দ্রমুখী, কারো নাক বোঁচা!
এখনো তোমার কীর্তি-
বাড়ায় মান, অসম্মান তোমার একটি খোঁচা!!
----------------------------------------
----------------------------------------
১১ ডিসেম্বর ২০১৬


পাদটীকা: শুধু মানবজীবন নয় সকল সৃষ্টির সূচনা থেকে কলমের চিরন্তন ক্ষমতার ব্যবহার চলে আসছে।
ইসলামী আক্বীদা মুতাবিক, আল্লাহ তাআলা সর্ব প্রথম কলম সৃষ্টি করেছেন। এরপর একে নির্দেশ দিলেন, লিখ, সে বললঃ কী লিখব? তিনি বললেনঃ যা হয়েছে এবং অনন্ত কাল পর্যন্ত যা হবে সবকিছুর তাকদীর লিখ। এটাই হলো "উম্মূল কিতাব"বা গ্রন্থজননী। যেখানে সকল সৃষ্টির ভাগ্য লিখিত আছে তথা সৃষ্টির আদি- অন্ত লিপিবদ্ধ আছে।
দ্রষ্টব্য: তিরমিযী: ২১৫৮, মিশকাত: ৯৪
আসমান ও যমীনের সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর পূর্বে আল্লাহ তাআলা সকল কিছুর তাকদীর নির্ধারণ করেছেন। (মুসলিম ৮/৫১)


(একটি কলমের খোঁচায় কখনো পদোন্নতি ঘটে কখনো বা কারো পদচ্যুতি হয়। কারো হয় সাজা, কারো জীবনের ইতি ঘটে আবার কারো হয় দন্ড মওকুফ। - এই বিষয়ে চারটি চরণ মাথার ভিতর চলে আসে হঠাৎ করে, তারপর একে কবিতা রূপে নিয়ে আসতে ইসলামী ভাবার্থ টেনে আনলাম। আশা করি সবাই কলমের এক চিরন্তন খেলার ব্যাপারে একমত হবেন।)