আমি দিন আমি রাত্রি!
            অনন্তের ঠিকানায় নির্ভীক অভিযাত্রী।
আমি প্রভাতের স্নিগ্ধতায়, ফুরফুরে বাতাস!
            আমার স্পর্শে পাপীরা ফেলে প্রশান্তির নি:শ্বাস।
আমি শিশিরের বিন্দু!
            শোকের দহনে দ:খের কালিমায়
            করুণার অশ্রু দিয়ে গড়ি মহা-সিন্ধু।
আমি সকালের সূর্য; দুপুরের উত্তাপ!
           মানি না আইন, মানি না নিয়ম
           নিমেষে করি অপরাধ, শত পাঁপ।
আমি কাল, সময়ের মহাকাল!
           বিধাতার হাতে গড়া তরঙ্গ উত্তাল।
আমি ধূমকেতু, আমি ধ্রুবতারা!
           আপনাকে বিলিয়ে আজ সর্বহারা।
আমি সূর্যের উদয়ে, সূর্যের প্রস্থানে!
           মহামানবিক মহাকালের, কবিতা ছড়া গানে।
আমি গভীর রাতের নীরব নিথর-স্পন্দন!
           ভোরের কোলাহলে ভ্রমরের গুঞ্জন।
আমি অবোধ, পাগল কিবা নিষ্কর্ম!
           ভেঙ্গে করি চুরমার মানবতার ধর্ম।
আমি নেতা মজলুম জননেতা!
            যেথায় স্বার্থ আমি থাকি সেথা।
আমি বীর, আমি মহা দানবীর!
            পূর্বাশায় লুটায় চরণে আমার অবাঞ্চিত শির।
আমি রাগী, মেজাজী, মহা-জালিম!
            মিথ্যা ভাষণে সবাইকে দিই তালিম।
আমি মূর্খ আমি মাতাল!
            হিংসার পেয়ালায় পান করি চিরকাল।
আমি শাষক আমি রাজার সিংহাসন!
            অনিয়ম দিয়ে আমি, করি রাজ্য শাষণ।
আমি সাগরের উত্তাল ঢেউ!
            আমায় রুখবে আছে এমন কেউ।
আমি দক্ষণা হাওয়া, পদ্মফুল!
            সবার মাঝে জাগাই আশা, ভেঙ্গে হৃদয়কূল।
আমি পথিক, আমি মানুষ!
            বিপথে চলি অবিরত, কভূ ফেরে না হুঁশ।
**********************
সংক্ষেপিত   ( বিসর্গ )
**********************


*******(২৩-১১-২০১২)*****