জনাব, জননেতা
বলছি সবিনয়ে আপনার সমীপে
"আপনাকে স্বাগতম আমাদের এই আসরে।"
সময়টা কেটে যায় আপনার নানা ব্যস্ততায়
এতোটুকু নেই কোনো ফুরসত, নানা ঝামেলায়
দেশ ও দশের মঙ্গলে সারাক্ষণই মশগুল
পারলে দেন বিলিয়ে নিজের জীবনটাও
জনগণের কথা ভেবে, অবশেষে পারেন না যদিও
সারাক্ষণই নিমগ্ন জনগণের চিন্তায়, অট্রালিকা পরে
"গরু মেরে জুতা দানে" দেখি সেই উদারতা
জীবনটাই আপনার পরের তরে।
অতএব, বলছি করজোড়ে- আসুন আমাদের এই ভূবনে
দেখে যান প্রাণ খুলে, ছন্দের সৌরভে
নেই কোনো বিনাশী আগুন,শুধুই সৃষ্টিশীলতা
গ্রহণ করুন সূরের স্বাদ; পরশে কি অনুভবে।


মাননীয় প্রধান মন্ত্রী
করছি কম্পিত হৃদয়ে সবিনয়ে নিবেদন
নেই কোনো অলস প্রহর, ব্যস্ততায় সারাক্ষণ
তবুও প্রাণভরে-
"আপনাকে স্বাগতম আমাদের এই আসরে।"
আপনার হাতে আজ দেশের কান্ডারী, ভাগ্য বাতিঘর
গবেষণা, চিন্তাতে প্রতিটি প্রহর
ক্ষমতার কী দাপট আপনার, আঠারতেই কুড়ি
তলাতে ছিদ্র রেখে ভরে চলেছেন উন্নয়ণের ঝুড়ি
ক্লান্তিতে অবসাদে সদা ভাবেন দশের মানোন্নয়ণ
অতএব, সবিনয়ে করছি নিবেদন
ঘুরে যান ক্ষণিকে, আমাদের এই আসরে
ছন্দের কী গতিশীলতা, বয়ে চলে নির্ঝরে।


বরাবর, মহান বিশ্বনেতা।
সবিনয়ে করছি নিবেদন আপনার তরে।
"আপনাকে স্বাগতম আমাদের এই আসরে।"
কী হৃদ্যতা আপনার, বিশ্বমোড়ল আপনার উপাধী
ক্ষুধাতুরের নেই স্থান; বিলাসী ভোজনের জন্যই শুধু
আপনার সাধা_সাধি
বিশ্বজুড়ে আজ স্বজাতি নির্মূলে; রক্তের নেশাতে সব এলোমেলো
কী মাথা আপনার! ঝুলিয়ে দিলেন"গণতন্ত্রের মূলো"
বলছি তাই সবিনয়ে অতএব-
আসুন আমাদের এই আসরে; বন্ধ হোক ধ্বংসের কলরব।


সুমহান "মহাসচিব"
করছি নিবেদন সবিনয়ে
কিছু কথা বলব, শুনাবো, মন খুলে নির্ভয়ে
চারিদিকে বিড়ালের উত্পাতে, আপনাকে প্রহরার দেয়া হল ভার
ক্ষমতার দাপট শুন্যের কোঠাতে, আইনটাই নাকি সার!
থলের ভিতর বিড়াল রেখে ভাবছেন সবাই বোকা
সেই বিড়ালই বারবার, উঁকি মেরে আমাদের দেয় দেখা
মাফ করবেন মহান নেতা, ক্ষমতাহীন কাগুজে বাহাদুর
আপনার মুখে বাঁশি গোঁজে, বিশ্বমোড়ল দেয় সূর।
অতএব, নিবেদন এই যে,
"আপনাকে স্বাগতম আমাদের এই আসরে।"
অবসরে ঘুরে যান, আমাদের এই কবিতার ভূবনে
এখানে সবাই নেতা, মহাবীর; নিজেদের কর্মগুণে।