ঘুম ভাঙ্গতেই কোমর সোজা করে বসলাম
পা দুটো সামনে ছড়িয়ে; হাতদুটো টেনে নিলাম
এপাশ ওপাশ করলাম, ডানে বামে বেঁকে
তারপর বাথরুমে ছুটলাম, টুথপেস্ট লাগিয়ে ব্রাশে
কলটা দিলাম ছেড়ে, দাঁতে দুটো ঘঁষা দিয়েই
আহ্ কী ঠান্ডা! গরম পানি কোথায়?
এ যে গভীর বরফগলা পানি। হিটারের কী হল?
যাহ্! নষ্ট হলি? তাও এই হাড় কাঁপানো শীতের ভোরে।
কী আর করি, গানে দিলাম টান, কমোডে বসেই
বাইরে থাকতে আসে না যে সূর; তাই প্রতিদিন.....
তিন প্রস্থ কাপড় গলিয়ে, শেষে জ্যাকেটের ভিতর
কোনোরকমে ঢুকলাম, মোজা দোজোড়া করে
তার উপর পলিথিন পেঁচিয়ে জুতাটা পড়ে দম নিলাম।
দরজাটা খুলে করিডোরে বের হতেই রাজ্যের শীত
আক্রমণ করে বসল।
কাঁচের স্বচ্চতায় বাইরে দেখি সব শুভ্র তোলার রাশি
বুঝলাম কী ঘটছে! তুষারপাত
তাড়াতাড়ি বাইরে বের হয়ে; স্বয়ংক্রিয় দরজাটা খুলে
পা রাখলাম তুষার জমাট শিলায়। পা যাচ্ছে জমে
এত যত্ন করে জুতা পড়েও কোনো ফায়দা হল না
তাপরও অদ্ভুত ভাল লাগল! সামনের বিস্তৃত
সফেদ শুভ্র শ্বেতকাথায় তাকিয়ে। বাহ্ চমত্কার।
দেখছি আর মুগ্ধ হচ্ছি। ভাবছি আর কাঁপছি
আকাশ থেকে পড়ছে যেন রাশি রাশি তোলার খন্ড
কিংবা কাশফুলের নরম পাঁপড়ি। পড়ছে আর জমছে
ব্যলকনি কি ছাদ, মাঠ কি রাস্তা
সব কিছু আজ সাদা বরফ ঢাকা। পড়ছে আর জমছে
মনে হয় নুন কিংবা চিনির আঁকড়
কিংবা যা বলে লোকে, তুষার জমাট শিলার স্তুপ
আহ্ কী মজা হত! যদি এই তুষারগুলো
হয়ে যেত সব মিষ্টি চিনি,খাদ্য-তুষ কিংবা মান্না_সালওয়া
মানুষ সহজেই এ গুলো সংগ্রহ করে, ভোগ করত
জমা রাখত, ব্যবহার করত; চারদিকে বিলাতো
যার জন্য এত কায়িক, শ্রমব্যয়; কষ্ট সহ্য।
আর পৃথিবীজুজুড়ে মারামারি হানাহানি
সব বুঝি বন্ধ হয়ে, দুনিয়াটা হত মায়াময়।
উদাস কবি যা ভাবছে, মিছেমিছি মনে যা আঁকছে
ভাবছে, সে তো হবার নয়।
তারপরও যদি.................................
১৯ ডিসেম্বর ২০১২, বুধবার।