ইদানীং আমার খুবই কাঁদতে ইচ্ছে করে
চিল্লিয়ে গলা ফাটিয়ে, উচ্চস্বরে বিলাপ করে
সমুদ্রের ঢেউ তুলে আর সবাইকে কাঁপিয়ে
কখনো নিস্তব্দ প্রহরে গোঁমড়ে গোঁমড়ে
কান্নার বিরহী সূর ভেসে আসে কোন অজানা থেকে।
চুলের গোড়ালী থেকে কান্নার স্রোত নেমে আসে
শিরায় শিরায়, উপশিরায় সহজেই ঘুরে বেড়ায়।
নেমে আসে ক্রন্দন ধারা রক্তকণায় মিশে
বুকের পাঁজড় ভেদ করে, নিম্ন অঙ্গে হয় জমা ।
লাল কান্না, নীল কান্না, জল কান্না, বুকভাঙ্গা কান্না।
শুভ্র কোনো রাতে, পূর্ণিমার ভরা চাঁদের মুখ দেখে
আমার তখন খুবই কাঁদতে ইচ্ছে করে
আকাশে ঝুলে থাকা নক্ষত্রের জলসায় চেয়ে
নেমে আসে অশ্রুর ধারা আমার দু'গাল বেয়ে
এখন শরতের কাশফুলে বাতাসের দোলায়
শিউলী ফুলের মোহনীয় ছন্দ, মাঠ-ঘাট প্রান্তর ছাড়িয়ে
আমাকে বড্ড ব্যাকূল করে, হাঁপিয়ে তোলে কালশিরা
আর নেমে আসে ক্রন্দন ধারা রক্তকণায় মিশে।
সুখের কোনো ঘটনা কি সংবাদে এখন আর
চিত্তের ভিতরে বহে না শিতলতার ধারা
বাগানের প্রস্ফুটিত পুস্পের বর্ণিল সমারোহে
বিশেষ করে লাল গোলাপের উদাত্ত আহ্বান
আমাকে এখন শুধুই কাঁদায়, অশ্রু ঝরায়।
ঘুমিয়ে গেছে অন্তরমম সুখ-পায়রা, কিংবা
চিত্তের উত্ফুল্লতা হয় তো গেছে মরে
ইদানীং আমার অশ্রু ঝরাতে ইচ্ছে করে
চোখের জলে নাক মুখ ভিজিয়ে
গলার ভিতর দিয়ে বুক ভাসাতে ইচ্ছে করে।
সমুদ্রের ঢেউ তোলে, ঘুর্ণিঝড়ের বেগে
জল ঝরাতে ইচ্ছে করে গোঙানোর স্বরে
কাঁদতে ইচ্ছে করে আর ভাসতে ইচ্ছে করে।