পথে যেতে বিদ্যালয়ের সামনে একটা ব‌্যানার
প্রতিদিনই চোখ চলে যায় সেখানে
"বিদ্যালয়হীন জীবনের ভবিষ্যত নেই"
পড়ি আর ভাবি, নিরর্থক এক সংলাপ, উক্তি।
আবার মনে হয়, কথাটার মানে সবখানেই ঠিক
একটা বিদ্যালয় মানে, জ্ঞানপাপীদের মহা সমাবেশ
একটা বিদ্যালয় মানে, উচ্চতর দূর_নীতির শিক্ষালয়
একটা বিদ্যালয় মানে, নিরুঙ্কুশ স্বেচ্চাচারিতা আর পরশ্রীকাতরতা
একটা বিদ্যালয় মানে, পুকুরচূরির অসাধারণ পরিণয়
একটা বিদ্যালয় মানে, কূকর্মের সাথে সভ্যতার উত্সব পালন
একটা বিদ্যালয় মানে, অস্ত্রের ঝনঝনানী আর পেশীর ক্রিয়া
মিথ্যা আর হঠকারিতার সাথে সত্যের লেপন।
সূনিপূণভাবে ছোট থেকে বড় আর
নিচ থেকে উপরে উঠার এক আদর্শ সোপান।
তাই আসুন সবাই বলি- আপনার সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠান
মানবীয় সব গুণাবলী বিলীন করে মানুষের উপরে কিছু একটা
আদর্শ জীবনের আর মহা মানবীয় ।
প্রাথমিক বিদ্যালয়, যেখানে শিখবে একজন পন্ডিত
কত দেরীতে পাঠশালায় আসে, প্রধান মহাশয়
কী করে হুঙ্কার ছাড়েন আর একজন ম্যাডাম
কী করে ছাত্রীদের দিয়ে মাথার উকুন বাছান।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়, যেখানে শিক্ষক মহাশয় ধমক দিবেন-
"বেয়াদব!দেব ফেল করিয়ে" বেতটা উঁচিয়ে।
উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, যেখানে শিখবে শিক্ষকরা কেমন অসহায়
আর শিক্ষার্থীরা শিখবে প্রেমের প্রাথমিক পাঠ।
একজন শিক্ষক কী করে একজন ছাত্রীকে নিয়ে পালায়
আর দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসারে কেলেঙ্কারী বাঁধায়।
মহাবিদ্যালয়, যেখানে শিক্ষকরা ননীর পুতুল
হতাশায় আর ব্যদনায়, জীবন এক অস্থিরতার।
শিক্ষার্থীদের হাতেখড়ি হয় অস্ত্রের সাথে, আর পরিচয় হয়
রাজনীতি নামক এক মহাব্যাধীর সাথে। রাহাজানী, খুনাখুনী
মারামারি, চাঁদাবাজি আর ভাঙ্চুর সভ্যতায়।
বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে শিক্ষকরা কখনো কারো জন্য দানব
কখনো কারো জন্য ছিঁচকে চোর। কারো জন্য সাধারণ
এখানে তারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মত পাশ-ফেল
করিয়ে দেবার হুমকিও দেন।
শিক্ষার্থীরা এখানে পুরো পাঁকা খেলোয়ার রাজনীতির মাঠে-পাঠে
ক্যাডার আর বাঁশি পরিচয়ে। অস্ত্র আর হত্যার মহা উত্সবে।
এখানে পরিণিত হয় দূর্নীতির চাড়াগাছ। অবলিলায়-গ্রাসে সব
দেশ, সমাজ কি সভ্যতা! তাই চলুন-বলি
আসুন আমরা সবাই বিদ্যালয়ে যাই
আমাদের সোনামণীদের বিদ্যালয়ে পাঠাই।