আমি ছিলাম যৌবনের
আমি ছিলাম সুন্দরের
আমি ছিলাম অহঙ্কারের
আমি সাহসের
আমি বীরের
সবার প্রিয় আদর্শের প্রতীক!
আজ আমি ধ্বংসের, আমি ক্ষুব্ধতার
আমি অসভ্যের, আমি বর্বরতার
আমি অপকর্মের
আমি অপদার্থের
আমি হায়েনার
আমি ত্রাসের, আমি প্রলয়ের
আমি রুগ্নের, আমি ঘোরের
আমি অশ্লীল, অশ্রাব্য, অকথ্যের
আমি পড়ন্ত বিকেলের
আমি জড়ের, মুকের,
আমি বধিরের
আমি অন্ধের
আমি বিকলাঙ্গের
আমি ভয়ঙ্কর, আমি ভীরুতার প্রতীক!


আমিতে এখন আর আমি নেই!
আমার মাঝে এখন আর আমার নিয়ন্ত্রণ নেই
আমার মাঝে বসত গেড়েছে রক্তপায়ী প্রেতাত্মা!
আমায় দখলে রেখেছে মানবতাখেকো পেত্নী!!
আমি এখন ডাইনীর চোখে পৃথিবী দেখি
সব কিছু আমার ভোগ সামগ্রী মনে হয়
আমার কন্ঠ থেকে যা বের হয় তা আমার নয়
এখন আমার মুখ থেকে বের হয়-
যতসব অশ্রাব্য, অশ্লীল,কদর্য, ন্যক্কার, খবিশ, জঘন্যরকম নোংরা
ময়লা,অকথ্য, নোংরা, অপবিত্র, সমল, অর্বাচিন
তা একটাও আমার নয়, সব ডাইনী পেত্নীর!
আমার হাত এখন ডাইনীর হাত!
আমার পা এখন ডাইনীর পা
আমার পেট এখন আমার নয়
তন্ত্রগুলো সব পেতনীর ভূরি!
সে এখন আমার মুখ দিয়ে খায়, পান করে!
এই যে আমার জিঘাংসা
এই যে আমার নোংরামী
এই যে আমার কূকর্ম
সব কিছু রক্তপায়ী প্রেতাত্মার!
আমার চারপাশে যত উদ্দাম আর তরঙ্গের ঢেউ
যত যৌবনের সমাবেশ
সব কিছু ডাইনীর দখলে
সবাই পেতাত্মার ছায়া!


আমি আমার হতে চাই!
আমি আমার মাঝে আমার নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে চাই!!
আমার চারপাশ থেকে ভূতের সমাবেশ দূর করতে চাই
কে করবে আমার চিকিত্সা?
কে দেবে আমার রোগের পথ্য!
আছে কোনো চিকিত্সক, বৈদ্য, ওঝা?