লাশগুলো সারি সারি। মাটির বিচিত্র বিছানা
খুঁজে বেড়ায় এখানে অসংখ্য কাঙাল চোখ
নিথর জীবন
কারো বোঝা
অনিমেষ ছুটছে দৃষ্টির তারাগুলো। অপলক পাঁপড়ি
অনেকদিন আগেই শেষ অশ্রুর শেষ বিন্দু।
এখন শুধু শুষ্কতা
           রুক্ষতায়, মগজে ঘোলা জল
খুঁজে বেড়ায় অসংখ্য নর-নারীর কোমল চোখের ছায়া
নিতান্তই করুণার আবহে
অবহেলায় গড়া জীবন যেখানে


এখানে মৃত্যুকে উপহাস করা হয়
জীবনে যারা উঠে যায় পর্বত চুঁড়ায়
তৃণের মৃত্যু নিয়ে করে রঙ্গ খেলা
কিছু কৌতুক
            হাস্য রসের মজাদার টক-শো।
শেঁকড়ের কান্ডটা ধরে
মজাদার কোনো বিনোদন ম্যাগাজিন।
তারপর একদিন
হয় তো আসবে এমন কোনো দিন
পুঁটিমাছের তাড়া খেয়ে রাঘব বোয়াল
জলের আশ্রয় হারিয়ে
লুকোবে ডাঙায়
ছটফট করে শেষ হবে জীবনের খেলা


বারবার এখানে মৃতকে মারা হয়
মৃতদের ভিতর লাগানো হয় বিরোধ!
তারপর পরস্পরে
নিজেদের মারে
            মৃত্যু এখানে স্বাগতম!
এভাবেই মরাদের এখানে বারবার মারে,ঘাড়ে বসা দৈত্য
জাতির ঘাড়ে চড়া ক্ষমতার দন্ড।


নিথর প্রাণে চলে বারবার নিরীক্ষার খেলা
মৃত্যুকে নিয়ে হাতেখড়ি বিদ্যা
কতবার করা যায়
কত প্রকার ও কী কী
মৃত্যুর বিশ্লেষণে নিরাপরাধ গিনিপিগদের জীবনাবসান
আমি ও তুমি; তোমরা
আমরা এখানে                      গিনিপিগ!


কিন্তু-
যেদিন বের হয়ে যাবে
খাঁচায় বন্দী গিনিপিগের দল
সামনে যা পাবে উন্মুক্ততায়
ছারখার হবে সবকিছু
ক্ষুধাতুর গিনিপিগদের নগ্ন গ্রীবায়
ভয়াল গহ্বরে-
শুধু হবে রক্তপানে, প্রাণের ভোজন
তাদের মৃত্যুকে করা হবে
আমাদের জীবনের বিজয়োল্লাস!
মুক্তির!
স্বাধীনতার!