রাত্রি গভীর হয়, অবসন্ন পৃথিবী ক্লান্ত চোখের ঘুমে
অবশ প্রকৃতি গভীর ঘোরে তাকায়, মুগ্ধ হতাশায়
বৃক্ষের করুণ বাঁশির সূরে পাতা ঝরে ছিন্নতায়
ঘোরের চোখে আমায় দেখে, একরাশ বিষন্নতায়
নিশি পথিকের ঘোর লাগা পদ-চিহ্নে ব্যগ্রতায় ঢাকা
ঘুমন্ত পাখিদের সমস্যায় দেয় হানা, ক্ষিপ্রতায়।
আমি হাঁটি, জলতরঙ্গ চোখে ঘুমহীন কালো ছায়া
ক্লান্ত অবশ পায়ে গুটি গুটি পদক্ষেপে, দেখি পৃথিবী
কী চমত্কার! নিরব নিস্তব্ধতায় ঢেকে আছে সব
ঝনঝন ঝংকারে মৃদুময় বাতাসে, আমি ঘুরি ঠায়
আকাশের তারা দেখি না, চাঁদের আলোয় ঘুরি না
নিরোদ অমাবস্যায় আপনার ছায়া খুজি, মনালোভা প্রাণ
রাস্তার সীমা খুজি, পারদের মাত্রা মেপে দেখি না
গাছের ঘুম দেখি, পাখিদের ঘুম দেখি মুগ্ধ চোখে
ক্লান্ত শরীরে মনের লতিকায় বড্ড জটের আকরে
তীব্রতায় জট পাকিয়ে উর্দ্ধগতি ভুলে  প্যাচ লাগিয়ে
নিচে নেমে আসে বারবার, আপনার আবাস নিমিষে
যাই ভুলে। হতাশ চোখে ঘুমন্ত প্রকৃতিতে নিজের
ছায়া দেখি, একরাশ ঘুমন্ত পৃথিবী আমার বুকে।