মন চায়
আগুন জ্বালি
সমুদ্রে ঢেউ তুলি
বাতাসে ঝড় তুলি
কীট পতঙ্গের লাফানো দেখি-


পাঠশালায়_
যারা ছিল পিছনের সারিতে
বসতো যারা শেষ বেঞ্চিতে
দেখা যেত না চেহারা, রাখত মাথাটা নুইয়ে
তারাই আজ বসে আছে মঞ্চে
ওরাই এখন সামনের সারিতে।
পাঠ্যবইয়ের অনুশীলনে যারা থাকত ভয়ে
পেটের বিদ্যেয়, মাথার ঘাম পড়ত ঝরে
ওদের মুখি শুনি জ্ঞানের অমৃত বাণী
খিদে মেটায় বুদ্ধির রসদে!
ওরাই বিকোয় বিদ্যের কাঁচামাল।


যারা বসতো দর্শকসারিতে
বলত বেশি কথা মূর্খতার লজ্জায়
তাদের কন্ঠে আজ বজ্রহুঙ্কার, অনিমেষ সফলতার
জাতির কর্ণধারের ভুমিকায় করে অভিনয়
কিনে নেয় বিবেকের নাট্য-মঞ্চ!
দেখা যায় তাদের সামনের সারিতে
ওদের মুখ দেখি আজ তরঙ্গের পর্দায়!
ওরাই আছে মাঠের বৃত্তে
তারা এখন প্রথম কাতারে
বসে আছে হুকুমের চেয়ারে!!


মন চায়, ধরে ওদের-
সুকুমার রায় আর সুকান্তের কবিতা শোনাই
শরৎ আর বঙ্কিমের উপন্যাসের সংলাপ মুখস্ত করাই


এরা এখন সুশীলের মোড়কে
ব্যর্থ সিনেমার সংলাপ আউড়ায়!


ওরা এখন আমাদের বন্দী পাখির মত বেসুরে গান শোনায়
আমরা এখানে সংবিধিতে বিধিবদ্ধতায়
ওদের বন্দী খাঁচায়।
আমরা এখন আইনের খাঁচায় বন্দিত্বের জটিলতায়।


ওরা আমাদের ঘুমপাড়ানি গান শুনিয়ে ঘুম পাড়াতে চায়
আমাদের কিন্তু ঘুম আসে না
নির্ঘুম রাত কাটে অস্থিরতায়!


মন চায় এইসব হিংস্র বাঁদরদের ধরে এনে ঘৃণার সাগরে ফেলি
ক্রস ফায়ারে দিয়ে লাল উৎসবে মাতি
অথবা কোনো চিড়িয়াখানায়...................


হায়রে কবি! তোমার কলমটা যদি হতো মেশিনগান অথবা কাটারাইফেল
ব্রাশ-ফায়ারে দিতাম সব ভন্ড-মুর্খদের।
বিদ্যৎ শক দিতাম হুকুমের চেয়ারে
কখনো মন চায়,
ওদের কানে ধরে- বস্তা পচা ছায়াছবি দেখাই
হাত-পা বেঁধে পাঠক উগলানো কবিতা শুনাই
দিন রাত তিন বেলা
আমার অপ্রিয় কবিতা শোনাই।
মন চায় আমার,
ব্যর্থ-কবিতার খাতাটা ওদের গলায় ঢুকিয়ে দিই।