রাতের নীরবতার মধ্যে অনেকবার
যখন ভর উচ্চতায় চাঁদের একাকীত্ব
ঝড়ো বাতাস থেকে ভেসে আসে শো শো শব্দ
আর আমরা শুনতে পাই ভুতের আনাগোনা
শান্ত,প্রেতাত্মার সভাগৃহে
ক্ষমতা আর মসনদের আগুনের  দ্বারা
কিছু লোকের মধ্যে জেগে উঠা
সাদা সব আত্মা আসে প্রেতের কাঁধে।


একটি আকর্ষণীয় সুন্দরী প্রেত
গোলাপের দুর্বল এবং চোখের উজ্জ্বলতায়
সাদা-কালো চুল সব আলগা ভঙ্গ সঙ্গে
ফুলে ফেঁপে উঠা মাথার খাঁচায়
উড়নার ফিতেটা ঝুলে থাকে কাঁধে।
তার আশে-পাশে বাসা বেঁধেছে "বড় অন্ধকার "
এবং একটি শিশুর বালখিল্যতা
আমাদের কথা বলে আর মিটিমিটি হাসে
আমাদের শান্তিতে আমাদের রক্ত চোষে।
একটি প্রেতের নতুন দলে, যুবরাজের উত্থানে।


এটি একটি দু: সাহসী একমুখি প্রেত
প্রতি- রাতে আর দিন হিসাবে মধ্যদুপুরে
আমাদের শোনায় নব চাঁদের জন্ম কাহিনি
এবং গুণগুনাগুন বাতাস বয়
আমাদের শেখায় আমাদের পরিচয়ের প্রাথমিক পাঠ
আমাদের ইতিহাস আর ভৌগলিক ঐতিহ্যের গান
আমাদের ঘাড়ে বাস করে, চিমটি কাটে বারবার
এই প্রেতাত্মা শোনায় শুধু তার ক্রোড়ের কথা
তার জন্মদাতার পরিচয়, তার জন্মদাতার কথা
এটাই নাকি আমাদের নতুন সূর্য।
আগামীর সম্ভাবনার ধারক।
একটা পরিবার একটি রাজত্ব করে তোলে
আমাদের কাঁধে চড়ে আমাদের রক্ত চোষে
ফ্যালফ্যাল চেয়ে থাকি আর মায়ার হাসি।


একজন ল্যাংড়া আর অথর্ব ভুতের কথা
সে আছে আমাদের মাঝে, পেত্নীর রাজত্বে
তার বাচালতায় আমাদের ঘুম ভাংগে
ঘুম ভেংগে দেখি- কোথায় সকাল?
এখনো মধ্যরাতের গহীন আঁধার
কখনো যার ভোর হবে না।
সে লাফায়, সে ধমকায়- প্রেতাত্মাদের ভিড়ে
মিটিমিটি হাসে সুন্দরী আর দুঃসাহসী প্রেত।
আমাদের রক্ত চোষে আমাদের স্বাধীনতায়
আমাদেরই মুক্তির কথা বলে,
আমরা এই ভূতের কথার মন্ত্রজালে
নিজেদের জড়িয়ে ভেসে গেছি প্রেতাত্মায়।
সে জড়িয়েছে দুই ডাইনীর মায়া-সাগরে।


আমরা কখনো এই সব প্রেত আর ভুত থেকে পানাহ চাই না
কখনো প্রভুর দরবারে শোনাই নি ফরিয়াদ
এদের ভালবেসেছি, এদের কথায় জীবন ধারণ করি
এদের আকর্ষণে নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিচ্ছি্
বারবার এদের আশায় প্রত্যাশার দিন গুনি
প্রতিরাতে এদের তান্ডবের অপেক্ষায় থাকি।
ভাল থাকুক আমাদের প্রেতাত্মারা
ভাল থাকুক তাদের সাঙ্গরা।
শুভ হোক প্রেতাত্মাদের রাজত্ব
মনুষ্যদের দুনিয়ায়।