যে সূর্যের উদয়ে আমাদের গণজাগরণের শুভ সূচনা
আলোকিত চারপাশ তিমিরকে ভেদ করে
তাকে আজ মধ্যদুপুরের আগেই গগণ ত্যাগে বাধ্য করি।
আমাদের আছে মোমবাতি, কেরোসিনের মিটিমিটি আলো
অপচয়ের কী দরকার শুধু, তড়িৎপ্রবাহের বিদ্যুৎ বড্ড জুলুম।
যে গাছে আজ দিচ্ছি জল, পাতার আগায়, কান্ড গোড়ায়
মূল যে তার উপড়ানো শিঁকড়সুদ্ধ, জন্মান্তরে।
যাকে আমি প্রতিদিন দুধে ভাতে অন্নগ্রাসী
আদরে আদরে বানাচ্ছি বাঁদরের ছা পোষা
সে যে আমার প্রাণ সংহারক কাল সাপ।


তেলে ভেজে যেথায় গরম মশলায় দিচ্ছি উনুন
জোর করে বানানো গণতন্ত্রের জগাখিঁচুড়িতে
কেউ তা মুখে দিক আর না গিলুক, বদহজমের নেই ভাবনা
কিন্তু কেউ কি ভেবেছে- এই অখাদ্যে
হয়তো তারই পেট জ্বলবে
মুখ জ্বলবে, গলা জ্বলবে
কিংবা উনুনের আগুনেই সব পুড়ে হবে ছাই।


পঁচাত্তরের যেই বিষবৃক্ষ আমরা উপড়ে দিয়েছি
বিষমুক্ত হয়ে করেছি জয়োচ্ছ্বাস।
নিচেই তার পড়েছিল বীজ
আগাছার আড়ালে সেটা হলো অন্কুরিত
ধাপে ধাপে কখন যে আজ সেটা বড় এক মহীরুহ
কেউ করে নি খেয়াল, আজ যখন সেটাই আমাদের গলার ফাঁস
আমাদের শ্বাসে পড়ছে ফাঁস
জাতি আজ তারই বিষবাষ্পে
দিচ্ছে এখন অবহেলার মাশুল।
হয়তো আবারো আমাদের এই অনাকাংখিত বৃক্ষটি
আবারো উপড়াতে হবে
আবারো ব্যয় করতে হবে শরীরের জল-রক্ত
শক্তি আর সাহসের সমন্বয়ে


আমরা তাকিয়ে আছি বিষহীন নতুন এক বৃক্ষের উত্থানে
নতুন এক আশার সূর্যোদয়ে।