ঘুমন্ত বিকেলের অলস প্রহরের কাটা
আড়মোড়া ভেঙ্গে আবারো তন্দ্রায়!
ঢুলোঢুলো চোখে দিবাকর
ঝাপসা দেখে পৃথিবীর ছায়ায়
মহাশুন্যে ভাসমান তুলোর পাহাড়ে
ঘটেছে রঙের বিবর্তণ
শুভ্রতার খোলস ছেড়ে জেগেছে গায়
ছাই রঙে গোলকচক্রি।
এক রাক্ষুসি প্রতিমায়!
হঠাৎ বেজে উঠে আকাশ কাঁপিয়ে
প্রকৃতির পাগলা ঘন্টা।
বাতাসের বিপদ সংকেতে
পতংগের রাগ-খেয়ালে
অরণ্যের জিয়ন বাঁশি, বেজে উঠে তারপর
পাখিদের গেয়ে উঠা একসাথে
বাদল সঙ্গীত সন্ধ্যায়!
পৃথিবীটা আজ আড়মোড়া ভেঙ্গে
আবারো তন্দ্রায়।


উদার চিত্তে ক্ষুধাতুর মৃত্তিকায়
নেমে আসে লালিমার
ঝরঝরে সোনালি বাদলের কান্নার জল।
কখনো ভালবাসার মিলনের আস্বাদে
ভেসে আসা কোকিলের গানে
বাদলের ক্ষুদে বার্তায়।


দিনের অন্তিম লগ্নে, রবি যায় ফেলে
অলস আর রক্তিম বর্ণে
পৃথিবীর ছায়ায়।


খুলে ফেলি আমি সব প্রকৃতির খোলসে
আমার আচ্ছাদন, উদার করেছি বুকের খাঁচা
মেলে ধরে মনের জানালায়
নিজেকে করছি ধৌত শ্রাবণের ধারায়।
সকল সংকীর্ণতা আর জড়তার বদ্ধতা ছেড়ে
নেমেছি আজ বর্ষার বর্ষণে
উন্মুক্ত আকাশের অঝোর ধারায়।
পৃথিবীটা যেন আজ বাঁধন হারা
ঘোর লাগা তন্দ্রায়।


(বরষার আয়োজনে)
××××××× (২৮.০৬.২০১৪)