রাতের তৃতীয় প্রহর! আকাশের ক্রুদ্ধ মূর্তিতে হঠাৎ
মেঘেরা জেগে উঠে একসাথে।
আক্রোশ আর গর্জণে
থেমে থেমে আলোক রশ্মিতে
গোটা পৃথিবী স্বচ্ছতায় হয় প্রকাশ!
বাতাসের একটানা বাঁশির সুরে
কমলের ভিতর খাঁচাটা নড়ে উঠে বারবার
আজকে তোলা টিনের দোচালাটা
সুদের সস্তা আবেগে
বাড়িয়েছে দ্বিগুণ।
গাছগুলো বারবার
রূকু আর সাজদায়, কেঁপে কেঁপে গুণে তাসবীহ
হলকায়ে যিকিরের আবেশে, শো শো আওয়াজে।
কমলের টিনের দো'চালাটা কড়মড় করে ওঠে
কমলের মেয়ে চিৎকার করে বলে-
-বাপজান এটাও যায় বুঝি।
বাতাসের লেজের ঝাপটায়
কমলের টিনের চালাটা, উড়ে গিয়ে পড়ে
গ্রামের পুরাতন দিঘীতে।
বাপ মেয়ে কোঁকড়ায়, বৃষ্টির ঝাপটায়
চৌকির নিচে লুকিয়ে
মেয়ে বলে, বাপজান!
সুদের কিস্তি যে বাড়লো দ্বিগুন
এরপর আমরা যাব যে কোথায়?
মেয়ের পিঠে হাত রেখে-
এতো ভয় পাস নে
ঢলকটা ভাল করে নামতে দে
বীজ খেতের জ্বালায় হয় না যে জালা
মাথাটা চলে গেছে পেটটা তো এখনো আছে
চালাটা গেছে, বীজ খেত তো আর নয়?
আসতে দে তারে আমনের খলায়
নামতে দে ভাল করে ঢলকটাকে।