শব্দহীন নি:শ্বাসের ভারে আটকে আসে দম
বুকের ভিতর পাথর চাঁপ!
দাও ফিরিয়ে শাব্দিক শ্বাসের অধিকার
আমাকে সশব্দে শ্বসনের সুযোগ।


স্বাধীনতার নামে, কখনো মুক্তির নামে
স্বাধীকার আদায়ে, মুক্তবাকের ফাঁদে
আমাদের সব অধিকার তোমরা করেছো বগলদাবা
আইন আর শাসনের বিধিবদ্ধতায়
আমাদের সব অঙ্গে করেছো বন্দি!
নিজের চোখে দেখতে পারি না খোলা আকাশ
নাকে আসে না ফুলের ঘ্রাণ!


ফিরিয়ে দাও আমাদের সব স্বাধীন অঙ্গগুলো
শিরা আর উপশিরা, চেতনার পরশ মাখা।
ফিরিয়ে দাও আমাদের কান্না ও চোখের জল
ফিরিয়ে দাও আমাদের হাসি আর উন্মাদনা।


বারবার তোমরা স্বাধীকারের নামে
শব্দকোষে ঢুকিয়েছো নিত্য নতুন মশলা
ভাব আর বিশেষণে
অমায়িক  অশ্রাব্য ধারা!


আমরা ফিরে পেতে চাই সশব্দে ঘুমানোর অধিকার
সদর দরজা খোলে, প্রকৃতির আবেগি পরিবেশে।
ফিরে পেতে চাই বন্দি হাঁচির অধিকার।
ঘুমন্ত স্বপ্নের জেগে উঠার অধিকার!
ফিরিয়ে দাও আমাদের স্বপ্নগুলো।


আমার মন চায়, একবার আমি বিকট শব্দে কেশে উঠি
স্তব্দ করে দিই কানের পর্দা, ছড়িয়ে পড়ুক মুখলালা
তোমাদের নাকে মুখে। নৈশব্দিক অশ্লীলতায়!
তারপর ঘুমিয়ে পড়ি চিন্তাহীন আবেগে
নাক ডেকে ভীষণ।
তোমাদের সব চেতনা আর স্নায়ুতে ধাক্কা মেরে।