অধীর আগ্রহে উন্মুখ জনতা মাঠ ভরিয়ে
জনতার জন্য জননেতা আসবে বলে
আসবে বলে জনতার দু:সহ কান্ডারী।
অসীম ধৈর্যের পরীক্ষায় কৃতকার্যতায়
নেতা এলেন দন্তবিকশিত সহাস্যে
জনতার তুমুল করতালিতে, হাত উঁচিয়ে
জনতাকে যেন বললেন, আমার হাতে তোমাদের ভাগ্য!
তারপর পুষ্পমাল্য বরণীয় নেতা হাতের মুঠোয় ধরে
যান্ত্রিকস্বরের শব্দদন্ড, জলদ কন্ঠে বললেন-
আমার ভাইয়েরা, আমার সামনে বসা গাধা গাধা জনতা
(জননেতা হয়তো বলতে চেয়েছেন, গাদা গাদা আমজনতা!
আমরা যারা ভ্রুকুঞ্চিত শ্রোতা, একধাপ বেশি বুঝি
তারা হয়তো ভুল শুনেছি) কম্পিত জনতায় উঠলো বজ্রকন্ঠ-
এগিয়ে চলো ভয় নাই,আমরা আছি তোমার সাথে।
তিনি বললেন, আপনারাই আমার শক্তি
আপনাদের প্রতি আমার ভালোবাসা নিখাদ
( কিংবা নেতার প্রতি জনতার )
তাইতো বারবার মিথ্যা আশ্বাসের পরও আমাকেই করেন নির্বাচিত।
যতদিন জনতা থাকবে, ততদিন থাকবে জননেতা।


রস পিয়াসী এক মঞ্চ সঞ্চালক
আমাদের কিংবদন্তী অভিনেতায়
করেন প্রশ্ন স্মিত হেসে- রহস্য কোথায়?
রঙিন পর্দায় এই যে আপনি,একাই করেন দশকে কাবু
দশটি বুলেট হজম করে দিব্যি ঘুরেন হেসে।
মহান নায়ক বলেন হেসে- (পরিচালকের ইচ্ছায় নয় কিংবা নয়
সেলুলয়েডের কেরামতী)
আমাদের আছে তিন শ্রেণির দর্শক ( অখাদ্য খাদক)
উঁচু, মধ্যম আর নিচু। প্রথম দু'শ্রেণি আমাদের দেখে না
শেষ শ্রেণিদের জন্য আমাদের এই প্রয়াস।
তারা খুব খুশি হয়, হাততালি দেয় হলঘর কাঁপিয়ে
আমরা উপস্থিত দর্শক কিংবদন্তীর কথায়
দিলাম তুমুল করতালি
আর ভাবলাম, আমরা যারা তার অভিনয় দেখে
করলাম তাকে মহান! তারা কোন শ্রেণি?