ও নীলাম্বর!
ডাকছি তোমায় মনে মনে, প্রকাশ্যে কিংবা চিত্কারে
বিলাও তোমার প্রেমাচ্ছন্ন, ধূম্রালয়ে আমায়
রক্তিম হৃদপিন্ড থেকে অথবা দুধাভ চন্দ্রিমায়।
দাও তোমার বিশাল বুকে আমার হৃদাশ্রয়
নিয়ে যাও আমায় তুমি তোমার বাড়ির আঙিনায়
আদরে, না হোক সমাদরের কোনো ভণিতায়
দাও না তোমার স্বর্ণালি চুল এলোমেলো করে
মেখে নেবো আমার মুখে চরম পুলক ভেবে।
খাবো আমি তোমার বুকের ঝলমলে সব আলো
রঙ বেরঙের তারার মেলায় মধুর সন্ধানে।
আমার উপরে ভেসে আছো তুমি রেশমী চাদরে
কখনো স্বর্ণালি, কখনো রূপালি, কখনো-
নীলাভ আচ্ছাদনে ঢেকে। ও গো পীতাম্বর!
যেখানে সূর্যকরোজ্জ্বল রত্ন, সুদূরতম সমুদ্রপথ
যেখানে রামধনু বর্ণের ভদ্রতায় মাখা সহজ দেখা,
উচ্চ তার মহিমাময় প্রেম, আকর্ষণ
সম্পূর্ণরূপে তোমার মহিমা পেয়ালায়।
তোমার বুকে মেঘের বাস,স্বাগত বৃষ্টিতে
আমার অভিবাদন, তুমিই উচ্চতা, নম্রতায়
তোমার বুকেই বাজে বজ্রধ্বনির আনন্দ
শুনতে পাই অহংকারের নির্মূল বজ্রনিনাদ।
তুমিই ঢাকো ভদ্রতাকে এক বুক সাগরে
তুমিই পাহাড়ের শোভা, পর্বতের মধ্যাকর্ষণ।
সাগরের জোয়ার ভাটায়, তোমার তনুচন্দ্রিকা।
ও নীলাম্বর!
ঝলমলে রাতে কিংবা আঁধারে গহীনে
দৃষ্টি আমার সর্বদাই তোমার পানে
জানি আমি এখনো জেগে তুমি, সারা দাও!
সারা দাও আমার প্রেমাম্বর। জাগ্রত তোমার হৃদয়ে
তোমার ঘুম নাই, ক্লান্তি নাই
ঢেকে রেখেছো আমাদের তুমি
অনিমেষ, স্বার্থের উর্দ্ধে তোমার আঁচল
তোমার অবয়ব। তোমার প্রেমাঙ্গণ।
তুমি বিধাতার এক অনাবিল সৃষ্টি
কী অপরূপ সৌন্দর্যে, তারকালঙ্কারে।
তুমি ঈশ্বরের প্রার্থনায় সৃষ্টির সুন্দরে
স্রষ্ট্রার অস্তিত্বের অপলক নিদর্শন।