মন্তেপর্সিও। রাজধানী থেকে ষাট মাইল
পাহাড়ের মাথায় ছোট্ট একটি শহর।
সকালে কাজের সন্ধানে যাই গণপরিবহনে
সৌন্দর্যের সেরাগুলো জমা হয়েছে এখানে
ইচ্ছে করে থেকে যাই, অনাদিকালের জন্য
ঘুরতে ঘুরতে মধ্যদুপুর। ক্লান্ত আর ক্ষুধার্ত
প্রধান স্টপেছে এসে শুনি, আজকের মতো ফেরা বন্ধ
ছোট্ট এই শহর থেকে রাজধানীর উদ্দেশ্যে।
মাথায় হাত! এতো দূর কীভাবে যাবো? কী করবো?
পয়সা নেই পর্যাপ্ত। উপায় একটা আছে, হন্টন
হয়তো চার ঘন্টা কিংবা পাঁচ ঘন্টা
ফিরতে হবে এভাবেই, নয়তো ..................
এখানে ফেরা যায় পরিবহনের বিকল্পে পায়ে হেঁটে
শুদ্ধ পরিবেশে ফেরা যায় না, নরপশুদের আর্তনাদে।
কখনো মন চায় ফিরে যাই সাগরের কাছে
নীল তাজা গর্জনের সাথে মিশে
ঝড়াশ্রু মুক্ত কোনো এক বিকেলে
সারারাত থাকি শহরের জঞ্জাল ছেড়ে!
রাজকীয় নীলাভ্রে কনকের হুঙ্কারে
হয় না ফেরা আর হাসিখুশি
শ্যামলবাংলার পল্লীবিলাসে
একটি হাতে ধরা সূর্যের রশ্মি!
যে কথাটি বলি বারবার প্রতিবাদের শব্দকোষে
পাহাড়ের অনুরণনে আমারই মুখে ফিরে প্রতিঘাতে
অনুত্তরিত! একটি শবদেহ হয়ে।
ভয় পায় না কেউ এখানে নরকের কথায়
এমন স্বর্গের হাতছানি ছেড়ে
ফিরতে চায় সবাই নরকের দেশে।
সূর্য গেছে অস্তাচলে
দিনের হয়েছে স্খলন
আমরা আছি অপেক্ষায়
সে ফিরবে বলে!
হাঁটতে হাঁটতে মধ্যরাত
ঘুমিয়ে নগর, নগরবাসী
তবুও পেয়েছি সমুদ্র সুখ
আপন নীড়ে ফিরে।