ভোর ছয়টায় ওঠে নাস্তা তৈরি
তারপর মেয়েকে তুলে প্রস্তুত করা
রাতের পর সকালেও একই অস্থিরতা
সময়ের সাথে ওকে পাল্লা দেয়া শেখানো
তারপর ওর সাথে ছোটে চলা
ওর সাথে আমাকেও গিলতে হয়
বস্তা ভরা বিদ্যেগুলো।
আজ হয়তো ও বুঝতে পারছে না
কিন্তু
আমি এখন বুঝতে পারছি-
আমার জন্য আমার মা
এতোটাই পেরেশান আর অস্থিরতায় ছিলেন
এভাবেই রোজ নাস্তা তৈরি করতেন
আর শেখাতেন
কিভাবে পচনশীল পৃথিবীতে টিকে থাকতে হয়!


আমার জন্য আমার বাবা
এতোটাই কষ্ট করতেন
সব কষ্ট আর পরিশ্রম
আমার মুখের দিকে চেয়েই বুঝি
ভুলে যেতেন।
ভুলে যেতেন বাইরের আনন্দ আর সুখানুভূতি
আমার দেয়া কষ্টটাকেই বড় বিনোদন ভাবতেন।