আমার ঢোক গিলার শব্দে নাকি রুমমেটের ঘুম ভেঙ্গে যায়
আমিও খুব টেনশনে আস্তে করে ঢোক গিলি
গলার অস্বস্তি ঠিকমতো যায় না, গিজগিজ করে
মনের গভীরে আরো কিছু অসহায়ত্ব
বলতে পারি না জোর গলায়-
তার নাকডাকার শব্দে যে ঘুমুতেই পারি না!
জবাব দেয়ার কন্ঠটা আজন্ম বঞ্চিত  
তবুও ভাগ্য ভালো, কক্ষটা নিরাপদ
বক্ষে যতোই থাকুক ভীতিকর স্মৃতি।


ঘুমহীন রাতগুলো হয় নির্মম আর দীর্ঘ
সাথে আছে অনিমেষ ভাবনার তরঙ্গ
সময়কে গুনতে গেলে সময় ফুরোয় না
পাশে যেন শুয়ে থাকে অলস ঘড়িটা
মাঝে মাঝে মস্তিষ্কে বাজে বেঁচে থাকার এলার্মটা
চোখভরা জল নিয়ে দেখি রাত বারো টা
মনে হয় দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে রাতের প্রহর
ভোর হতে যেন জীবন পাড়ি


অসুস্থ শরীরের মতো
যখন অসুখটা মনের অন্ত্রে রন্ধ্রে পৌঁছে যায়
সমাজের জীবাণুগুলো তখন
সময়কে বিষাক্ত করে ফেলে, অনাবিল অবসরে
চারদিকে শুধু ফিনাইলের কড়া গন্ধ।  
অসুস্থ হাতটা বুকের উপর রেখে ভাবি-
পচন ধরা ঘড়িটাই কেন দেয়
এই সমাজকে টিকে থাকার সময়টা


নাকডাকা শেষে রুমমেট বলে তন্দ্রামুখে-
এখনো ঘুমান না কেন?
আপনার দীর্ঘশ্বাসে আমার ঘুম যায় ভেঙ্গে