ফার্মেসি পড়তে পড়তে কখন যে সম্পর্কগুলোতেও
ফার্মেসির ছাপ পড়লো,
তা বুঝতেই পারিনি।


সম্পর্কগুলো যেন একেকটা ব্লিস্টারের মতো,
গায়ে সম্পর্কের নাম লেখা থাকে।
সাথে ম্যানুফ্যাকচারিং ডেইট আর এক্সপেয়ার্ড ডেইট,
নীল, কালো কিংবা অন্য রঙে থাকে।


কিন্তু কখন যে সম্পর্কের ডেইট এক্সপেয়ার্ড হলো,
কখনই যে বেঁচে থাকার অবলম্বন বিষে ভরে গেলো
তা আমি বুঝে উঠতেই পারিনি।


এখন এই সম্পর্কের একেকটি ডোজে -
আমার রক্ত বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে।
সারা দেহের কোষগুলো বিষের ছোবলে প্রাণ হারাচ্ছে,
আর আমি আধমরা হয়ে এখনো পড়ে আছি।


ধীরে ধীরে ব্লাড-ব্রেন বেরিয়ার ক্রস করে,
বিষাক্ত ছোবল মস্তিষ্কে পৌঁছে যাচ্ছে।
আর আমি ধীরে ধীরে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের উপর,
একচ্ছত্র আধিপত্য হারিয়ে যাচ্ছি।


এরপর চোখ খুলে দেখলাম,
আমি হাসপাতালের বিছানায়।
আমার নাকি স্টোমাক ওয়াশ হয়ে গেছে,
এখন সেলাইনে করে সাসটেইনলি ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।


হয়তো বিষের লিথাল ডোজে পৌঁছাতে পারিনি,
তাইতো বেঁচে আছি এতো বিষাক্ত ছোবল খেয়েও।
সারা দেহে বিষ ছড়িয়ে আছে তবুও,
দিব্যি বলে যেতে পারছি ভালো আছি এখনো।


হয়তো কোন একদিন সম্পূর্ণ বিষই এক্সক্রিট হয়ে যাবে,
তবে কিছু ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন আর ধ্বংসাবশেষ রেখে যাবে।
যা দেহের ভিতরই আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে,
দুঃসহ একটা স্মৃতি ভেবে ভেবে।