বয়স যাদের ছাব্বিশে
ছাব্বিশবার জন্মে, হুশ ফিরে ধর্মে


ছাব্বিশ শিশুর জন্মে
হাসি ফোঁটে না কর্মে


আগুন চোখে সবকিছু দেখে
বেরিয়ে পড়ে রাস্তায়,
ভরে বস্তায় আধমরাদের, বয়স যাদের ছাব্বিশে


অশ্ব মলে, বেহায়ার কান মলে!
হুশ না মিলে- ভালবাসার আর্তনাদে স্কয়ার কাঁপে।
কাঁপে বিশ্ব ইথারে ইথারে
ফেঁটে যাবে ঢোল
পেটমোটা ডলারের খোল


সেতারে বেতারে নেমে আয় রাগ
অশুচি-অশুভ ভাগ, ভেসে থাক বালিহাঁস 
ফিরে আয় শিশু
ঈশ্বর ফিরবে আবার- আমার নদী, আমাদের নদী,
মধুমতী নিবে শ্বাস।।


নড়াইল, ১০ই নভেম্বর ২০২১


বিভিন্ন মন্তব্য, প্রতিক্রিয়ায় আমার অভিন্ন মন্তব্য নোট:


১। যুবকের বয়সের নিম্নসীমা উনিশ পার করে হলেও আমার বিবেচনায় সমকালীন সমাজ সময়ে মধ্যবিত্ত শিক্ষিত যুবকগণের সমাজে ভালো অবদানের বয়সটা একটু পরে আসে। হতে পারে চব্বিশ বা 'ছাব্বিশ', বলতে পারি ছাব্বিশের তরুণ। এ বয়সেই সে ভারসাম্যের বোধ বুদ্ধি প্রাপ্ত হয়, ধর্মকে সঠিক অনুধাবন করতে পারে, কর্মে বাস্তবতা আসে এবং সমাজগঠনে শক্তিশালী অবদান রাখতে পারে বলে আমার পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতার ধারণা। এই বোধপ্রাপ্ত তরুণ সমাজের সামগ্রিক সক্ষমতা, দক্ষতা বাড়িয়ে দেয় এবং সমাজকে নেতৃত্ব দেবার জন্য যথেষ্ট প্রজ্ঞা প্রয়োগে সক্ষম।
২। বর্তমানে সভ্যতায় চলমান ভোগের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, অসংখ্য আধিপত্যবাদী বৈশ্বিক বানিজ্যিক আগ্রাসন জালের বিধ্বংসী গ্রাস মোকাবিলায় যথার্থ জ্ঞান ও প্রজ্ঞার প্রয়োগ এ প্রজন্মের তরুণদের দ্বারাই সম্ভব।
৩। ছাব্বিশের তরুণদের সমাজকে এগিয়ে নেবার মূল দায়িত্ব নেবার উপলব্ধি ও তাগিদ হতে লেখা। এ কবিতাটি কোনও বিচ্ছিন্ন কবিতা নয়। ভোগের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আধিপত্যবাদী বৈশ্বিক বানিজ্যিক আগ্রাসন জালের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির ভাবনাগুলো বিভিন্নসময়, সময়ের সুযোগে প্রকাশ করার প্রচেষ্টার অংশ। এ আসরের এই সময়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কবির কবিতা মনে হয় একই ভাবনায় লেখা।


অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।