খেলা, চারদিকে খেলা!
বদলে গেছে খেলা, জীবনের ভেলা, চারদিকে খেলা।


করোনার ভেল্কি খেলা, কে দেখেনি তার সংগ্রামের কলা!
কুটচালে রোহিঙ্গারা,
পাল তোলে বাঁচার ভেলা।
গোলে গোলে বাংলা টলে- 
সাগরে খেলে হাঙরেরা-  ক্লাবে ক্লাবে একতালে,
বাদ্যের নেশায় ঢোলে।


গ্যাস খেয়ে ইউরোপ চলে,
শ্রমঠগী শিয়ালের ছলে,
আকাশে-বাতাসে কথা চলে, বলে বলে ফুটবলে,
সবার সাথে চলে, কাতারী বুদ্ধির খেলা।


কেউ ডাকে তাবত মহাজন, এক দেশে এক হউন।
কেউ ডাকে আসুন ভাইজান,
সে-ই তো এখন বড় মেহমান।
খেয়ে চলে রাজার মহলে, দাওয়াতে মেজবান-
সুদকষে চলে-
সাঁট সাঁট ছেপে চলে, খানদান রাজকলে, ডলারের খেলা।


মিসকিনগুলো অর্বাচীন, ছুটে-ফাটে, মনে করে সমীচীন,
সামলাতে ঘাটমাঠ-
বিগ্রহ-কবিতায় নেয় তারা পাঠ;
খেলা হবে নাকি, খেলা!


মাথা গোলে বল-গোল, কার পায়ে কার ঠেলা!
স্বপ্নে তো আমিই ফুটবল!
দানবেরা তোরা, পায়ের নীচে আমাকে ডল!
আমরা দানাদানা,
চিরসবুজ বোবাকানা,
মিশে-পিষে চলে মোড়লের যাঁতাকল।


এখন কি উপায়, তোরা বল!
হতে পারি অনুজীবের চেলা।
সরে-সরে ঘুরে-ঘুরে দেখবো যে দয়ালের বিশ্বগোল,
সাগরে-নদীজলে,
নয় কারো করতলে,
ভাসবো তীরে তীরে, ভিড়িয়ে বেদের ভেলা।


ঠ্যাং ধরে দাও টান, এবার খেলবো খেলা হাডুডু।
বেশ হবে খেলা,
যেমন, মাকু দিয়ে সুতো টান।
বাঁচার খেলা, সৃষ্টির খেলা-
এ দারুণ খেলা!
যেমন, সুতোর গিঁটে ধরা পড়ে ফাঁদে ও-ই চোর-ঘুঘু!


নড়াইল, ২১শে নভেম্বর ২০২২