দুই শত ছয় বাঁশের ঘরে নয় দরজা খোলা
সেথায় নাকি বসত করিস ওরে আপন ভোলা।
পাতলা, ছেঁড়া পর্দা ঝোলে সে সব দরজায়
মৃদু মন্দ হাওয়ায় পর্দা এদিক ওদিক যায়।
সেথায় বসে সদাই করিস আমার সাথে ফন্দি
সেই বন্ধ ঘরে বসে আমায় রাখলি চিরবন্দী।
তোর চাওয়াতেই চলে সদাই আমার কাঁদা, হাসি
তোর চাওয়াতেই ধাঁধায় মরি, ওরে সর্বনাশী।


সকল হাসি কাঁদার মাঝে ছন্দ নিয়ে এলি  
দিবস নিশি বিভোর হয়ে তোর সে খেলা খেলি।
ক্ষণিক উঠি ছন্দে দুলে, এই তো ভাবি জয়
ক্ষণিক পরেই বিষাদ, ভাবি এ তো কিছুই নয়।
যাহার তরে কান্না এতো শব্দ, কথা গানে
কোথায় বসে খেলে সে’জন, যায় কি তাহার কানে?
ঝাপসা হয়েই ঘোরে ফেরে দেয় না সে’জন ধরা
শুভ্র, শান্ত মেঘ উড়ে যায়, আমার শুধুই খরা।


যতই ভাবি তুই-ই আপন, আমার অতি প্রিয়
আমায় নিয়ে খেললি শুধুই, রইলি অনাত্মীয়।
ক’দিন পরেই যাবি জানি জীর্ণ এ ঘর ছেড়ে
নিথর এ ঘর বিদায় তোরে দেবে রে হাত নেড়ে।
যেথায় যাবি, সুখ বা দুখের খেলবি নতুন খেলা
অসীম সময়-সাগর মাঝে ভাসিয়ে অচিন ভেলা।
সবার খেলার মধ্যিখানে আমি কোথায় বল
সবাই মিলে আমার সাথে খেললি শুধুই ছল?


দেহ, আত্মা আর সে জনা, আত্মীয় এই তিন
আমি কারোর নই যে কেহ, রই আমিত্বহীন।