দুই সতীনের বসত এখন আমার ছোট ঘরে
এক সতীনকে বাসলে ভালো, অন্যে জ্বলে মরে।
এক সতীনের সাজের জন্যে জমাই কিছু টাকা
অন্য সতীন জেনেই বলে, হাত দু'খানা ফাঁকা
সেটাই দুটো সোনার বালা খুব জরুরী চায়
মিলিয়ে সাথে দিতেই হবে কানে এবং গলায়।
না দিলে তা, সেই সতীনের পাই না মুখের হাসি
অন্য সতীন এমন নিঠুর, কয় না ভালোবাসি -
সারা জীবন ভালোবেসে হৃদয় দিলাম তুলে
তবু সে যে অবহেলায় রইল আমায় ভুলে।
সেই সতীনকে যখন দিলাম যে বন্ধুর হাতে
বন্ধু সেজন রইল না আর তার এ স্বামীর সাথে।
দুই সতীনই হলো আমার সুখের সর্বনাশ
তবু তাদের নিয়েই আমার কাটছে বারোমাস।


এক সতীনকে বললাম সেদিন - ও কবিতার মা
এ বছরে সাজাই তোরে - পয়সা পেলাম না।
কবিতার মা শুনেই সেটা করল এমন রাগ
সারাটা রাত কাটলো আমার নিদ্রাবিহীন সজাগ।
কানের কাছে সারাটা রাত করল ঘ্যানর ঘ্যান
তোমার সাথে জীবন গেল শুনে এই ভ্যান ভ্যান।
পড়লে হাতে অন্য কারো দেখতে আমার আদর
ফেব্রুয়ারীর বইমেলাতে ছুঁ'তাম কত চাঁদর।
ফিসফিসিয়ে বলি তারে, কথা দিলাম তোরে
আসছে বছর বইমেলাতে যাবিই যাবি ওরে।


অন্য সতীন শুনেই সেটা, উঠলো ফুসে রোষে
তোমার মতো স্বামী আমার জুটলো কপাল দোষে।
অন্য কারো ঘরে গেলে, পেতাম ভরি ভরি
শূন্য গলা, শূন্য হাতে তোমার ঘরে মরি।


দিশেহারা হয়ে এখন দুই সতীনের স্বামী
দিনেরাতে ওদের মাঝে ঝগড়া থামায় আমি।
বাঁচতে হলে রাখতে হবে অন্ততঃ এক বউ
নইলে বলো কোথায় পাবো ফনীমনসার মৌ?