গণতন্ত্রের অর্থ হলো অধিক মতে শ্রদ্ধা
সকল দলই সংসদ-ঘরে দেশ গঠনের যোদ্ধা।
ভিন্ন তাদের কিছু নীতি, ভিন্ন কিছু কাজ
শান্তিপূর্ণ তথ্য পাবে জনগন ও সমাজ।
মিটিং, মিছিল, দাঙ্গাবিহীন চলবে জনজীবন
শান্তি রবে অবিঘ্নিত, নির্ভিক রবে মন।
যে যারে চায় নিজের মতে দেবে অবাধ ভোট
কাটবে না কেউ তাদের গলা, চোখ, মুখ ও ঠোঁট।
হারবে যারা বিরোধীদল, মেনে নেবে হার
অভিনন্দন জানিয়ে, দেবে দেশ চালানোর ভার।
জিতবে যারা সরকারীদল নেবে দেশের দায়িত্ব
বিরোধীদল সে সরকারের ভুল ধরবেই নিত্য।
ভোটের সময় সরকারী দল যা বলেছে প্রতিজ্ঞায়
বিরোদীদল রাখবে চাপে, আমজনতা যেন তা পায়।
ব্যর্থ হলে সরকারকে বলবে মিথ্যাবাদী
নিয়ম মাফিক হতেও পারে তীব্র প্রতিবাদী।
বিরোধীদল করলে সংসদ পূর্ণদিবস বর্জন
সেদিন তাদের হবে নাকো বেতন-ভাতা অর্জন।
লাভটা হলো, এমনিভাবে জানবে জনগন
সরকারী দল ব্যর্থ হলো করতে শর্ত পূরণ।
পরের ভোটে জনগনই ঠিক সিদ্ধান্ত নেবে
এমনিভাবে দুইটি দলই দেশকে সেবা দেবে।

এসব করার আগে দলের সবার শিক্ষা চায়
দলের ভেতর গণতন্ত্রের বিকল্পটা নাই।
দলের নেতা, দেশের নেতা, অবাধ ভোটে হবে
তবেই নেতা সবার কাছে দায়বদ্ধ রবে।
নেতার কর্ম আলোচনায় যখন সবার ভয়
যুগে যুগে একই বংশে তখন নেতা রয়।
তাই যদি হয় তবে যে তা মূলেতে রাজতন্ত্র
গণতন্ত্র, স্বাধীনতা - ভাওতাবাজের মন্ত্র।


বঙ্গবাসী ভাববে জানি, এমন গণতন্ত্র
পৃথিবীতে কোথাও আছে - কবির মনতন্ত্র?
কানাডা, ইউরোপ, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া
সুখেই আছে সুষ্ঠ ভোটে এমন তন্ত্র নিয়া।
বঙ্গনেতা জাহাজ ভর্তি আসেও এসব দেশে
যাও বা দেখে, কমই শেখে, সব ফেলে যায় শেষে।
ব্যক্তিস্বার্থে যেথায় নেতা সবকিছু যায় ভুলে
নিজের মনের মত যা নয়, রাখবে শিকেয় তুলে।
এমনিভাবেই নেতাই খাবে দেশটা লুটে পুটে
দাস-জনগন মরবে তাদের পায়ের তলে লুটে।


হায় অভাগা দেশ রে আমার! আসবে কবে তোর
লোহার ছেলে, লোহার ডান্ডায় আনতে সেথা ভোর।
দেশের শত্রু ভন্ড নেতা পঁচবে গিয়ে ভাগাড়
নীতিহীন রাজনীতির দেশে আসবে নীতি আবার।