চুলের আগে গোফে যেদিন ধরলো সাদা পাক
কানের উপর ছাতা ধরা, মাঝখানেতে ফাঁক
বন্ধুরা সব ঠাট্টা করে ডেকেছিল জ্ঞানী
আধো বোজা চোখে নাকি দেখায় আমায় ধ্যানী!
মধ্যদেহে স্ফীত হয়ে জাগলো উইয়ের ঢিবি
মনটা রেগে প্রশ্ন করে, বৃদ্ধ করেই দিবি?  
চোখ জোড়াতে লাগা না হয় চশমার কাঁচ দুটো
মনের জমা গন্ধ কাদায় খোঁড় দেখি এক ফুঁটো
সেই ফুঁটোতে লাগিয়ে দে না কাব্য-ফুলের চারা
সুবাস ভরা রঙিন ফুলের যা হয়েছে হারা
ফুটবে আবার নতুন করে কাব্য-গাছের ডালে
পরবি সে ফুল গলায় মালা, রঙ মাখাবি গালে।


গাছটা যে দিন লাগিয়ে দিলাম, হয়ে গেলাম কবি
শীতের শেষে বসন্তে ফের জাগলো রঙিন ছবি।
নানান রঙের ফুলগুলি সব ছড়াই মুঠি মুঠি
গান গেয়ে সব ভ্রমর, পাখি আসে সেথায় ছুটি।
তাদের সাথে তাল মিলিয়ে যাচ্ছি আমি নেচে
বৃদ্ধ দেহে কিশোর হৃদয় উঠছে আবার বেঁচে।
দেহের মরণ ভয়ে এখন মন কাঁদে না আর
মনের কাছে হস্ত জোড়ে শরীর মানে হার।


আয় রে তোরা বৃদ্ধ ভেবে কাঁদিস যারা বসে
মনকে তোরা ভিজিয়ে নে রে কাব্য-মদের রসে।
দেখবি তখন পাড়ায় আছে যত কিশোর, যুবা
ওদের মতোই হয়ে যাবি মজনু বা দিলরুবা।


মরণ ডালে জীবন বেঁধে খেলবি ঝুলন খেলা
সময় ভুলে মাঝ গগনে দাঁড়িয়ে র'বে বেলা।