আগের যুগে কলুর বলদ ঘুরতো টেনে ঘানি
বুঝতে যাতে না পারে সে, বাঁধতো চোখ দু'খানি।
হাঁটছে সোজা ভেবেই তারা ঘুরতো চক্রাকারে
সরষে কণার প্রতিবিন্দু ঝরতো তৈলাধারে।


একটি ফোঁটাও সে তেল থেকে মাখতে বলদ পেতো?
ভাগ্যগুনে কোন বলদ তার কিছু খইল খেতো।
কলুর ঘানি-বলদ গেছে, বদলে গেছে দিন
কলুর বলদ আর ঘোরে না, ঘুরায় ঘানি মেশিন।


কালের বলদ ঘুরায় তবু এই সমাজের ঘানি
দিনে দু'বার খইল পেতে সব জীবন করে পানি।
চোখ দু'টিতে বাঁধা আছে রঙিন ভোগের ঠুসি
পাওয়ার যা সব পাবে ভেবেই ঘুরছে সদাই খুশী।


চতুর ক'জন অলস বসে তেলের বানে ভাসে
মধ্যে মাঝে দু'মুঠো খইল ছড়িয়ে দিয়ে হাসে।
কালের বলদ টানছে ঘানি - খেটে খাওয়া মানুষ
যুগের পরে যুগ চলে যায়, পুড়ছে তারাই তুষ।


কালের বলদ! খুলবি কবে পুজিবাদীর ঠুসি
তেলের সমান ভাগটা পেলে তবেই হবি খুশী?
নতুন বছর ডাকছে যে ওই, আয়রে কালের বলদ
চোখ খুলে আজ ভাঙতে হবে এই সমাজের গলদ।