একটু নাহয় বাতাস এসে খেলছে সে তার খেলা
দূর গগনে শরত মেঘের ভাসিয়ে দিতে ভেলা।
বুকেতে তোর কিসের নাচন ওরে নদীর জল
উড়তে কি আর পারিস রে তুই হোস যত চঞ্চল?
তবু যে তোর বুকের কাঁপন নাচন তোলে জানি
আকাশ যেন ডাকছে তোরে উর্ধ্বে ও বুক টানি'।


জানিস কি তুই তোর নাচনে অনেক কিছুই নাচে?
হাসের ছানা নেচেও ঘুমায় মায়ের বুকের কাছে।
তোর নাচনে নেচে নেচে নৌকাখানি চলে
তার উপরে যুগল-হৃদয় নেচ নেচেই গলে।
দুই তীরে ওই দাঁড়িয়ে থাকা গাছে নাচায় মাথা
সবার চেয়ে বেশি নাচে শুকনো ভাসা পাতা।


ট্রেনে বসে নাচছে কবি আর মনে তার ভাবে
সকল নাচন সাঙ্গ হবে বাতাস যখন যাবে।