আকাশটাকে শুধাও যদি কোথায় অনীল তার
আকাশ রবে বাক্যহারা উত্তর মেলা ভার।
আকাশ তোমায় বলতে পারে, দেখাও না এক বুক
নেইকো যেথায় কান্না, ব্যথা আর বিরহের দুখ।

আমার বুকের কোথাও কোথাও মেঘের শীতলতা
তারার আলোক জ্বলেও যদি, ভীষণ নীরবতা।
সে সব বলো আমার বুকের কতটা আর ঢাকে
সারা বুকেই নীলের তৃষ্ণা অহর্ণিশি থাকে।

জমাট বাঁধা বরফ গলে রবির উষ্ণতায়
চলমান এক নদী হয়েই সাগর পানে ধায়।
শুধাও তারে পেয়েছিলো কেমন সে উষ্ণতা
সাগর তৃষ্ণায় চলন ছাড়া, শুধুই নীরবতা।

মৌমাছিকে শুধাও যদি কোন সে পিপাসায়
ফুল হতে সে আর এক ফুলে ব্যস্ত উড়ে যায়
জমায় যত ফুলের মধু নিত্য আহরণে
কতটুকু পান করে তার, তৃষ্ণা যখন মনে।
শুনবে শুধু চলার মাঝে মুখের গুঞ্জরণ
কেউ বোঝে না, গান নাকি তা তৃষ্ণাতে ক্রন্দন।  

সাগরটাকে শুধাও যদি, আর কত জল চায়  
তৃষ্ণাভরা ঢেউগুলি তার কূলেতে আছড়ায়।
অহর্নিশি বুকে নিয়েও হাজার নদীর জল
বুক ফাটানো তৃষ্ণাতে তার ঢেউ করে টলমল।
নোনাজলের কষ্ট নিয়ে তৃষ্ণা অবারিত
জনম জনম মিষ্টি জলেও হয় না যে তা স্থিত।

উষ্ণতাতে বুকটা যখন তোমার বুকে রাখি
বুকটা তোমার বোঝে কিগো কী পিপাসায় থাকি?
চোখটা যখন তোমার চোখে দেখে আগুন খেলা  
ক্ষণিক পরেই আঁধার নেমে শেষ করে দেয় বেলা!
হতে চেয়েও তোমার নদীর শীতল জলে স্থিত
তৃষ্ণাটা তাই জনম জনম থাকেই অবারিত!