অবিশ্বাসী এক ইহুদী ছিল নবীজির প্রতিবেশী
সুযোগ পেলেই নবীজিকে সে কষ্টই দিত বেশী।
বাড়ীর যত নোংরা, পঁচা, গন্ধ ও আবর্জনা
ছুড়তো নবীর উঠোন 'পরে দিতে তাঁরে যন্ত্রণা।
দ্বীনের নবী কোনদিন ভুলে করেনি তো অভিযোগ
নিজ-হাতে সব সাফ করাকেও, ভাবেনি যে দুর্ভোগ।


হঠাৎ একদিন শুনলো নবী ইহুদীর এক ছেলে
অসুস্থ্য হয়ে মৃত্যু শয্যায়, যাবে এ পৃথিবী ফেলে।
দয়ার নবী, ধৈর্য্যের নবী, শুনে সব তাড়াতাড়ি
অসুস্থ্য শিশু দর্শন তরে গেলো সে পাশের বাড়ি।
নবীজি বলে, হে প্রতিবেশী, যদি করো অনুমতি
মাথাতে তার রেখে মোর হাত কই তারে কথা কটি।
পাশে বসে নবী মধুর কন্ঠে অসুস্থ ছেলেরে ডাকি
বললো অতি স্নেহের সাথে মাথাতে এক হাত রাখি
বলো বাবা, এক আল্লাহ ছাড়া নেই দ্বিতীয় প্রভু
আমি যে তাঁরই বার্তা-বাহক, উপাস্য নই কভু।
শুধু সেই পারে শান্তি দিতে সবার জীবন ও মরণে
তোমার ব্যথার লাঘব হবে হয়তো বা তাঁর স্মরণে।


ছেলেটি বলে পিতার মুখে চেয়ে ব্যথাতুর চোখে;
এ নাকি অতি শত্রু তোমার, তুমি বলো, বলে লোকে?
বললো বাবা, ওরে বাছাধন, তোর্ এই মৃত্যু দিনে
কেমনে বল আজ মিথ্যা বলি, পূর্ণ সত্য বিনে?
কোনদিন আমি দেখিনি কারেও ওঁর চেয়ে বেশী সৎ,
ধৈর্য্যশীল ও সত্যবাদী - নাই মানি তাঁর মত।
সারাটি জীবন দিয়েছি তাঁরে, যত আছে দুর্ভোগ
বিনিময়ে হাসি দিয়ে গেছে সে, নয় কোনো অভিযোগ।
বল তুই বাবা, যাই বলে সে, যদি হোস তাতে খুশী
মিথ্যা বলে সত্যবাদীরে কী করে আজ আর দুষী?


আমরা যদি দাবী করি আজ, আমরা নবীর উম্মত
সত্য, সততা, ধৈর্য্যশীলতা, হোক আমাদের পথ।

রচনা: পার্থ, ৫ এপ্রিল, ২০১৬


***গতকালের 'নবীজির দয়া' - এর ধারায় আমার আজকের প্রয়াস 'নবীজির ধৈর্য্য" |