একদিন অতি রাগে রোদ কয় ছায়ারে
তোর বুঝি নেই মোটে এতটুকু হায়ারে!
সারাদিন ধীরে ধীরে যে দিকেই যাই
সম্মুখে বারেবারে তোকেই তো পাই।
আলস্যে শয্যায় বস্ত্রহীন বুক
ভীরু চোখে চাওয়া এক কামাতুর মুখ।
যত দূরে যেতে চাই, আগু-পিছু নিস
কানদুটি কাছে এনে কী যেন শুনিস।


ছায়া কয়, আসলে তো লজ্জা নেই তোমার
যত লাজে মরি আমি কাছে আসো আমার।
নিজেরে লুকাতে যত মারি গুটিশুটি
তুমি তত হেসে হেসে হও কুটিকুটি।
লজ্জাহীন ওই চোখে দেখি যত লোভ
শরমে মরি আর বাড়ে তত ক্ষোভ।
শেষে যেই বটি হাতে করি তোকে তাড়া
পশ্চিমী হো’স তুই মোর বাড়ি ছাড়া।


সূর্য আর গাছ শুনে চুপি চুপি হাসে
তারা জানে আলো-ছায়া কোথা থেকে আসে।
যুগ যুগ দেখে তারা আলো-ছায়া খেলা
রাগ অনুরাগে রোজ কেটে যায় বেলা।


রচনা: ১৫ মে, ২০১৬