নদীর তীরে ঝোপের ভিতর থাকে ডাড়স সাপ
পথের পাশে শুয়ে থাকে, যে দেখে দেয় ঝাপ।
আঁকা বাঁকা দৌড় দিয়ে সে পায়ে মারে ঘা
আস্তে আস্তে সেই কথাটা জানলো সারা গাঁ।
সেই ঝোপেতে থাকত সাথে একটা কোলা ব্যাং
বন্ধু ভেবে বুদ্ধি দিতে করতো ঘ্যাঙর ঘ্যাং।
বলে, বন্ধু চললে এমন পড়বে তুমি মারা
বিষ নেই তবু কুলোপনা, হলে বুদ্ধিহারা!
করলে এমন ফোঁস ফোঁস আর চললে আঁকা বাঁকা
বেশিদিন আর হবে নাকো এই দুনিয়াই থাকা।
চুপটি করে চললে সোজা বাধবে কেন পায়ে
বন্ধ করো তোমার চলা ডানে যেতে বাঁয়ে।
ডাড়স বলে, চুপ কর তুই ভীতু ক্ষুদে ব্যাং
করিস নাতো কানের কাছে সদাই ঘ্যাঙর ঘ্যাং।
দেখিস নাকো লম্বা আমি সুঠাম আমার দেহ
দ্রুত চলি, সাধ্য আছে আমায় ধরে কেহ।


সেদিন ক’জন গাঁয়ের ছেলে যাচ্ছিল সেই পথে
হঠাৎ ডাড়স আঁকা বাঁকা ছুটল কোথা হতে।
বলল ওরা, বিষ নেই ওর মূর্খ্য ডাড়স সাপ
একটা ছেলে লাফ দিয়ে তার মাথায় দিল চাপ।
ফটাস করে ফাটলো মাথা ডাড়স গেল মরে
ঝুলিয়ে দিল লেজটা বেঁধে গাছের ডালের 'পরে।
ছেলেরা যেই চলে গেল ব্যাংটা উঠে ডালে
বলে, বন্ধু শুনলে নাকো তোমার জীবন কালে।
মরার পরে হলে তুমি দেখছ কত সোজা
জীবন দিয়ে শুধতে হলো বাঁকা চলার বোঝা।


রচনা: ২০ মে, ২০১৬