শিকড়বিহীন খন্ড-বিখন্ড মেঘেরা
ভেসে চলে শূন্য আকাশের বুকে।
মাটির স্পর্শহীনতার বেদনায় হয় পুঞ্জীভূত,
ক্রন্দনের বারিধারা ঝরে পড়ে ধরণীর বুকে।
সিক্ত করে ধরিত্রির হৃদয়
প্রাণরস যোগায় সহস্র শিকড়ে
ধরণী হাসে সবুজের সমারোহে।


শিকড়সহ ভেসে চলে শেওলা, কচুড়ি-পানা
অতল স্রোতস্বিণীর বুকে।
মাটির স্পর্শহীনতার কান্নায়
বারবার স্পর্শ করে তীরে, তটিনীর বাঁকে বাঁকে।


ভূমির উপর ভেসে চলে ভূমিহীন মানুষেরা
জীবনের শিকড় যাদের বারবার ঘুনে খায়।
কে আছে সিক্ত হবে ওদের বঞ্চিত বরিষনের কান্নায়?
কে আছে বিষ দেবে ওদের শেকড় ভক্ষক ঘুনের মুখে?
বৈভব জৌলুসে নির্লজ্জ জগৎ
আর কতকাল দেখবে নির্বিকারে
ওদের জীবনের বাঁকে বাঁকে
তীরের ধাক্কা খেয়ে, ভূমিহীন ভেসে চলা?


ধরণীর বুক হয় ধীরে ধীরে লজ্জাহীন-ধূসর
মানুষের বিবেক তবু হয় না প্রতিবাদ-মুখর।


রচনা: ২৪ আগস্ট, ২০১৬