পোশাক তৈরির কারখানায়
হাজার কর্মি খেটে খায়।
করিমন তার একটি নাম
কে জানে তার কোথায় গ্রাম।
দিনে খাটে অস্বস্তিতে
রাতে কাটায় বস্তিতে।
জীবনটা তার রোজ কবরে
বাঁচার নামে আছে ম’রে।
করিমনের ভয়-আঁকুতি
স্বপ্ন-মাঝে রাতের শ্রুতি।
আগুন নাচে সর্ব-গ্রাসী
কী ভয়ংকর অট্টহাসি!
ড্রাগন ফণা আসছে ধেয়ে
রক্ষা নাই তার কোথাও যেয়ে।
দুঃস্বপ্নের প্রহর গোনে
রুগ্ন ছেলের আর্তি শোনে।
নরক মাঝেই রতি-রমন
শ্রমের মূল্যে নরক-জীবন।


মালিক লাভের অঙ্ক কষে
কারখানাতে বিল্ডিং ধ্বসে।
মালিক দুদিন কুমীর কাঁদে
কারখানাটির নামে বাঁধে
হাজার কোটির বস্তাটা
ব্যাংকের টাকা সস্তাটা।
বিদেশে হয় বাড়ি গাড়ি
সুখের রানী বধূ-নারী
রাজা যখন সময় পান
বিদেশ যেয়ে সময় কাটান।
ছেলেমেয়ে বাড়ছে সেথা
ব্যবসায়ী নয় হবে নেতা।
বিদেশ ওদের বাসের যোগ্য
বাংলাদেশটা শুধুই ভোগ্য।
এইভাবে যায় দেশের টাকা
দেশের ব্যাংক তাই হয় যে ফাঁকা।


দেশে র’বে করিমন
আর ভিখারি জনগণ।
তেমন সময় আসার আগে
আয় জনগণ ক্রোধ ও রাগে
মালিক বাবুর টুটি ধরে
বলি সবাই উচ্চস্বরে:
আমার পাওনা আমায় দে
তোর যে টুকু সে টুক নে
থাকলে দেশে সবাই থাক
নইলে সবাই বিদেশ ভাগ।
দুটোর ভিতর একটা খা
নইলে খাবি লাঠির ঘা।
হারামখোর নয়, মানুষ হ'
নইলে হবে বিদ্রোহ।


(চলবে......)